× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

'আন্দোলন ছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়নি'

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
২৪ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার

আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের আদালতের কোনো স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশের আদালত শেখ হাসিনার কথায় চলে। এর বড় প্রমাণ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ভুয়া মামলায় জেল দেয়া হয়েছে। এ মামলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন দেয়ার কথা। অথচ দীর্ঘদিন থেকে তাকে জেলে রাখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্টরা কখনো প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না। প্রতিবাদ করলেও তারা মামলা হামলার আশ্রয় নেয়। এরই অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আমার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে ১১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একজনই নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করেন। আর দেশের সবাইকে প্রজা মনে করেন। এটি ফ্যাসিবাদের অন্যতম লক্ষণ। হবিগঞ্জে দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন। গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর হবিগঞ্জের আদালতে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল। মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর গণ্যে রুজু করতে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন তখনকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোলায়মান। ওই মামলায় মাহমুদুর রহমান হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন লাভ করেন। সোমবার দুপুরে মাহমুদুর রহমান হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিমের আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। এসময় আদালতের বিচারক হাইকোর্টের জামিননামা গ্রহণ করে স্থায়ী জামিনের শুনানির জন্য আগামী  ৮ই মে ধার্য করেন। মাহমুদুর রহমানকে হবিগঞ্জে স্বাগত জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র আলহাজ জিকে গউছ। মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর উদ্দিন শাহিন, সামছু মিয়া চৌধুরী প্রমুখ। মাহমুদুর রহমানের সাথে ছিলেন, বিএনপি নেত্রী সাবেক এমপি শাম্মি আক্তার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ। হবিগঞ্জের মামলা সম্পর্কে মাহমুদুর রহমান জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা কি রাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া করা যায়? রাষ্ট্রের কোনো অনুমোদন নাই, অথচ মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেই মামলা এফআইআরও করা হয়েছে। সরকার আদালতকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। ধ্বংস করে দেয়া আদালতকে পুনরুদ্ধারে কয়েক যুগ সময় লাগবে। মাহমুদুর রহমান বলেন, আন্দোলন ছাড়া কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়নি, হবেও না। ফ্যাসিস্টরা কখনো ক্ষমতা ছাড়ে না।

সরকার বিরোধী আন্দোলন সহিংস হবে না কি অহিংস হবে তা নির্ধারন করে দেয় সরকারই। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কি ধরনের আন্দোলন হবে তা বিরোধী দল গুলোকে বুঝতে হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই মুকিত জানান, মামলার তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে। বেশ কয়েকজনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর