× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুমার বিশ্বজিতের তিন যুগ

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার

দেশের আধুনিক কিংবা চলচ্চিত্রের গানের বিশাল চৌহদ্দিতে অনন্য এক নাম কুমার বিশ্বজিৎ। সংগীতাঙ্গনে তিন যুগ সময় পার করছেন এ তারকা। এই তিন যুগে বাংলাদেশের গানকে দেশে এবং দেশের বাইরে সমৃদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক পেয়েছেন বহু সম্মাননা এবং তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। যদিও সংগীতে তার সংগ্রামী জীবন শুরু হয় ১৯৭৭ সাল থেকে নিজের গড়া একটি ব্যান্ডে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে। কিন্তু পেশাগতভাবে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে তার পদচারণা শুরু হয়। আবদুল্লাহ আল মামুনের লেখা এবং নকীব খানের সুর সংগীতে তার গাওয়া ‘তোরে পুতুলের মতো করে’ সাজিয়ে গানটি বিটিভিতে প্রচার হয় আল মনসুর প্রযোজিত ‘শিউলী মালা’ অনুষ্ঠানে। এই গান দিয়েই এদেশের সংগীতপ্রেমী শ্রোতাদের মনে ঠাঁই করে নেন কুমার বিশ্বজিৎ। ১৯৮৫ সালে নূর হোসেন বলাই পরিচালিত আলাউদ্দিন আলীর সুর সংগীতে ‘আমরা দু’জন দুটি শান্ত ছেলে’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন কুমার বিশ্বজিৎ।
এরপর অসংখ্য আধুনিক এবং চলচ্চিত্রের গানে কুমার বিশ্বজিৎকে পেয়েছে এদেশের গানপ্রেমী শ্রোতা-দর্শক। সংগীতে তিন যুগ দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছেন এ তারকা। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি গান গেয়ে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, আমার বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। তার ইচ্ছে ছিল আমি যেন ব্যবসায় মনোযোগ দিই। কিন্তু আমার মায়ের কারণেই আজকের এই অবস্থানে আসা। মায়ের এই ঋণ কোনোভাবেই কোনোকিছু দিয়ে শোধ করার নয়। আমি বিশেষত কৃতজ্ঞ আমার প্রথম সুপারহিট ‘তোরে পুতুলের মতো করে’ গানের গীতিকার চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন, সংগীত পরিচালক নকীব ভাই, প্রথম প্লেব্যাকের সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী ভাইয়ের প্রতি। এরপর অনেক সুরকার, সংগীত পরিচালক, গীতিকারের গান আমি গেয়েছি। তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি সংগীতাঙ্গনে আমার আজকের অবস্থানের পেছনে যখন যেখানে গিয়েছি সেখানে ছোট্ট কোনো কাজেও যারই সহযোগিতা পেয়েছি, তার প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার দোয়া, ভালোবাসা, সহযোগিতায় আমি আজকের কুমার বিশ্বজিৎ। আমার ছোট্ট এই জীবনে আমাদের সংগীতাঙ্গনকে আমি যা দিয়েছি প্রতিদানে দর্শকের কাছ থেকে আমি বহুগুণ পেয়েছি। সংগীত যদি মহাসমুদ্র হয় আমি তীর তো দূরের কথা বালুচরেরও দেখা পাইনি আজো। প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত পিএ কাজল পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা’ চলচ্চিত্রের জন্য কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার হিসেবে এবং মোস্তফা কামাল রাজের ‘প্রজাপতি’ চলচ্চিত্রে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর