× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টেকনাফের পাহাড়ে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

দেশ বিদেশ

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার

টেকনাফ বাহারছড়ার উত্তর শিলখালীর গভীর পাহাড়ে লতায় প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এক কন্যা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর পূর্বে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সে স্থানীয় শফি উল্লাহর কন্যা সাদিয়া সুলতানা ওম্মী (৮)। ২২শে এপ্রিল বিকালে স্থানীয়রা গভীর পাহাড়ে লতা দিয়ে প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় সাদিয়ার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোমবার এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সে উত্তর শিলখালীর বাইল্যার ছড়ার গ্রামের জাকের হোসেনের পুত্র আজিজ উল্লাহ (১৯)।
আটক যুবক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া নিশ্চিত করে আরো জানান, শিশু মেয়েটিকে অপহরণ করে গভীর পাহাড়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে ধর্ষণ করে।
পরে লতা দিয়ে প্যাঁচিয়ে শিশু সাদিয়াকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখে।

এদিকে সোমবার সকালে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজ হক টুটুল ও উখিয়া-টেকনাফের (সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলাউ চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাদিয়ার মৃতদেহ কক্সবাজার মর্গে রয়েছে। জানা যায়, ২১শে এপ্রিল শফি উল্লাহ’র বাড়িতে স্থানীয় দিনমজুর ইউসুফ কাজ করছিল। উক্ত ইউসুফের মজুরির পারিশ্রমিক হিসাবে ৫শ’ টাকা সাদিয়ার হাতে দিয়ে ইউসুফের বাড়িতে স্ত্রীর নিকট পাঠায়। ওই সময় ইউসুফ দিনমজুর হিসেবে শফি উল্লাহর বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিল বলে স্থানীয়রা জানান। সন্ধ্যা নেমে এলেও মেয়ে সাদিয়া বাড়িতে না ফিরায় পিতা শফি উল্লাহ খোঁজাখুঁজি করে এবং ইউসুফের বাড়িতেও খোঁজ নেন। কন্যা শিশু সাদিয়াকে না পেয়ে পিতা শফি উল্লাহ সারারাত আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করতে থাকে। পরের দিন বিকালে (২২শে এপ্রিল) খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্থানীয় গভীর পাহাড়ে লতা দিয়ে প্যাঁচানো সাদিয়ার ঝুলন্ত অবস্থায় রক্তান্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে স্থানীয় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কন্যা শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ততের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে স্থানীয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি জাহিলি যুগের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে এবং এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না ঘটার জন্য ধর্ষককে প্রকাশ্যে মৃতুদণ্ড দেয়ার দাবি জানান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর