দুইদিন ধরে সরকারি স্টাফ বাস বন্ধ। এ কারণে গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং দেশের প্রশাসনযন্ত্র সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আট হাজার কর্মচারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। গত রোববার থেকে স্টাফ বাস বন্ধ থাকায় নরসিংদী, সাভার, নবাবগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন দূরের রুটগুলোর সরকারি কর্মচারীরা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকালে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের বাস ড্রাইভার নজরুলকে আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে এদিন বিকালে সরকারি কর্মচারীদের আনা-নেয়ার জন্য পরিচালিত বাস তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয় কল্যাণ বোর্ডের ড্রাইভাররা। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন আট হাজার সরকারি কর্মচারী। কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকাল ৮টায় পলাশী মোড়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্টাফ বাস নিয়ে (ঢাকা মেট্রো-চ-০৮-০০৫৩) অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন। এছাড়া স্টাফ বাসের ড্রাইভার নজরুলও আহত হন। এনিয়ে শাহবাগ থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। কল্যাণ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নজরুল রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে গতকাল সকালে আটক করা হয়। এ কারণে ড্রাইভাররা ক্ষুব্ধ হয়ে সব বাস চালানো বন্ধ করে দেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, ১৬ই এপ্রিল স্টাফ বাসের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এনিয়ে রোববার ড্রাইভার নজরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এজন্য স্টাফ বাস বন্ধ ছিল। আশা করছি ড্রাইভাররা তাদের কাজে ফিরবেন।