গোমস্তাপুর উপজেলার কুইচ্চাগাড়া এলাকায় রোববার রাতে র্যাব’র সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে ২ ডাকাত নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪ র্যাব সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ১টি পিস্তল, ৪ গুলি, ১টি ম্যাগাজিন ও কয়েকটি দেশি ধারালো অস্ত্র। নিহতরা হলো, গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা নন্দলালপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলাম আতিক (৩০) ও ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছি এলাকার বাহার আলীর ছেলে মো: রাজীব (২৫)।
র্যাব-৫ এর চাঁপাই নবাবগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার স্কোয়াড্রন সাঈদ আবদুুল্লাহ আল মুরাদ জানান, রোববার রাত সোয়া ১২টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার কুইচ্চাগাড়া এলাকায় আড্ডা সড়কে ৫/৬ জনের একটি ডাকাতদল সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় চাঁপাই নবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের একটি টহল দল সেখানে উপস্থিত হলে ডাকাতরা র্যাবকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ২ জন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয় ও ২ জন পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ ২ জনকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল, ম্যাগাজিন ১টি, চার রাউন্ড গুলি, একটি বুলেট, তিন টি হাঁসুয়া, ১টি চাইনিজ কুড়াল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ র্যাব সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানান চাঁপাই নবাবগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার স্কোয়াড্রন সাঈদ আবদুল্লাহ আল মুরাদ। গোমস্তাপুর থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, নিহত দু’জনই ডাকাতি মামলার আসামি। এরমধ্যে আতিক ৪টি ও রাজীব ২টি মামলার আসামি। নিগত দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, মুরাদনগরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য আল আমিন (৩৫) নিহত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জেলার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের শুশুন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৫টি মুখোশ ও কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। নিহত ডাকাত আল আমিন জেলার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মঞ্জুর আলম মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।