× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গার্মেন্ট শিল্পে এখনও শ্রমিকদের কণ্ঠরোধ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২৪, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১২:৪৬ অপরাহ্ন

রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু অগ্নিনিরাপত্তার উদ্যোগ শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে। গার্মেন্ট শিল্পে এখনও শ্রমিক ইউনিয়নের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। এখনও বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে এ শিল্পে মজুরি সর্বনিম্ন। রানা প্লাজা ট্রাজেডি স্মরণ করে এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে লন্ডনের প্রভাবশালী দ্য গার্ডিয়ান। ঢাকা থেকে মাইকেল সাফি ও নিউ ইয়র্ক থেকে ডোমিনিক রুশি এ নিয়ে একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন লিখেছেন। তারা লিখেছেন, ৯০ সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে ধসে পড়ে রানা প্লাজা। এতে নিহত হন কমপক্ষে ১১৩৪ জন।
শ্রমিক ইউনিয়নগুলো একে শিল্পখাতে সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে। এ ঘটনার পর বৈশ্বিক বিভিন্ন ব্রান্ড ও খুচরা ক্রেতারা বাধ্য হয় অবস্থার পরিবর্তনে। তবে রানা প্লাজা থেকে কোন কোন কোম্পানি পোশাক তৈরি করতো তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিল প্রাইমার্ক, মাতালান ও অন্যান্যরা। প্রায় ২৫০টি কোম্পানি এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পরিবর্তনে দুটি উদ্যোগে স্বাক্ষর করে। এর একটি হলো ‘একর্ড অন ফায়ার এন্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ’। অন্যটি ‘এলায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি’। বাংলাদেশের ২৩০০ গার্মেন্ট শিল্প থেকে পোশাক সরবরাহ নেয় পশ্চিমা ব্রান্ডগুলো। এসব কারখানায় নাটকীয়ভাবে নিরাপত্তার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে হাতে নেয়া হয় এ উদ্যোগ। দুটি উদ্যোগই এ বছর তাদের মেয়াদ পূরণ করছে। একর্ড ও এলায়েন্স হাতেগোনা কিছু বিরোধের নিষ্পত্তি করেছে। একর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েইস বলেন, আমার তো মনে হয় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে তৈরি পোশাক খাত রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ হলো সবচেয়ে নিরাপদ। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা ব্রান্ডগুলো যেসব কারখানা থেকে পোশাক সরবরাহ নেয় না এমন কারখানার সংখ্যা কমপক্ষে ২০০০। এসব কারখানার শ্রমিকদের অগ্রগতি সামান্যই হয়েছে। এমনকি এসব কারখানায় বাংলাদেশ সরকার অনুসন্ধান বা ইন্সপেকশন করেছে বা মোটেও করে নাই। এখনও এ শিল্পের শ্রমিকদের কন্ঠরোধ করে রাখা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা প্রশ্ন রাখেন, এই যে অগ্রগতি তা কতটা টেকসই? যখন একর্ড ও এলায়েন্সের কাজ শেষ হয়ে যাবে তখন কি হবে? পশ্চিমা ক্রেতারা যখন সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিলেন তখন হাজার হাজার কারখানা মালিক অগ্নিকান্ডের ফলে জরুরি নির্গমন পথ, স্প্রিংকলার সিস্টেম, বৈদু্যুতিক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন, অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ করেন।  শ্রমিক অধিকার বিষয়ক গ্রুপ ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক স্কট নোভা বলেন, এখন খুব কম গার্মেন্ট কারখানাই আছে যাকে মৃত্যু ফাঁদ বলা যাবে। রানা প্লাজা ট্রাজেডির আগে প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডে অথবা ভবন ধসে প্রায় ৭১ জন করে শ্রমিক মারা যেতেন। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন সেন্টারের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সংখ্যা এখন কমে বছরে ১৭ তে এসেছে। ব্রান্ডগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর