চলমান এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যেও কালীগঞ্জে বৈশাখী মেলার নামে চলছে রমরমা জুয়ার আসর। জানা যায়, গত এক সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া কালীগঞ্জ কাশিপুর রেলওয়ে মাঠে বৈশাখী মেলায় চলছে উন্মুক্ত স্থানে জুয়া ও র্যাফেল ড্র। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সকালে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চশব্দে উপজেলা ও আশপাশ এলাকায় অকর্ষণীয় মাইকিং করে মেলার প্রচার করা হচ্ছে। উঠতি বয়সের যুবকরা ভোর রাত পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছে জুয়ার আসরে।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মেলার নামে চলছে চরকাখেলা, মানুষ ঠকানো প্রকাশ্য জুয়ার আসর। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবক মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মেলায় বসানো হয়েছে হরিণ, বাঘ, সিংহ, পাখিসহ বিভিন্ন মার্কার চরকা ড্র ও জমজমাট জুয়ার আসর। আয়োজকরা এতই বেপরোয়া যে নামাজের সময় পর্যন্ত মাইক বন্ধ করছে না। মেলার নামে গ্রামগঞ্জে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রচার মাইক।
এ নিয়ে মানুষ ক্রমশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। মেলা হচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। কিন্তু মেলার অনুমতি নিয়ে মূলত জুয়া খেলাকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এলাকার যুবসমাজ ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। সেখানে বসানো হয়েছে ৪টি জুয়ার বোর্ড। যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়। আর এই জুয়ার আসরে ভিড় করছে উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজগামী তরুণরা। অভিভাবক মহল চরম ক্ষোভের সুরে জানান, উঠতি বয়সী কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আর গ্রাম্য যুবকের আড্ডায় জমে ওঠা গভীর রাত পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ এখন শুধুই রমরমা জুয়ার আসর। এর ফলে এলাকার এইচএসসি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া লাঠে উঠেছে। যুব সমাজকে গ্রাস করছে অবক্ষয়ের নীল ছোবল।
অর্থলোভীরা মেলার নামে যাত্রা ও জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘৃণ্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করছে। কালীগঞ্জ সুশীল সমাজ মেলার নামে চলা জুয়া ও র্যাফেল ড্র বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় বলেন, মেলার নামে জুয়া খেলা হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।