বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু ছত্তার বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছে। গতকাল সকালে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালা নদীর আমবাড়িয়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৭ রাউন্ড তাজা গুলিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, নিহত বনদস্যুর (৩৫) নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি র্যাব। র্যাব-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুরাত আলম জানান, বনদস্যু ছত্তার বাহিনী সুন্দরবনের আমবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে র্যাবের একটি দল অভিযানে যায়। র্যাব সদস্যরা আমবাড়িয়ার কাছাকাছি পৌঁছলে সুন্দরবনের ভেতর থেকে দস্যুরা আকস্মিক গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। ঘণ্টাব্যাপী উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে বনদস্যুরা পিছু হটে সুন্দরবনের গহিনে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে এক বনদস্যুর লাশ, ২টি দেশে তৈরি বন্দুক, ১টি এলজি, ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি, ১২টি গুলির খোসা, ১টি রাম দা, ১টি ছুরি, ২টি টর্স লাইট, একটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি, ১টি সোলার প্লেট ও চাল-ডালসহ বনদস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধ শেষে শ্যালা নদীতে মাছ ধরা জেলেরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ওই জেলেরা নিহত বনদস্যু (৩৫) ছত্তার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য বলে শনাক্ত করে। তবে তারা ওই বনদস্যুর নাম পরিচয় জানাতে পারেননি। শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ কবিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে র্যাব-৮ এর ডিএডি একেএম আবু হোসেন শাহরিয়ার বাদী হয়ে দুপুরে সরকারি কাজে বাধা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। নিহত বনদস্যুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।