× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নি র্বা চ নী হা ল চা ল - যশোর ৫ /কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী জটিলতায় বিএনপি

শেষের পাতা

নূর ইসলাম, যশোর থেকে:
২৫ এপ্রিল ২০১৮, বুধবার

মনিরামপুর উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে যশোর-৫ নির্বাচনী এলাকা। যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহ বিধৌত হিন্দু অধ্যুষিত এই  জনপদে আওয়ামী লীগের রয়েছে শক্ত অবস্থান। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে একক ভোটে আওয়ামী লীগ অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে জোটবদ্ধ নির্বাচনে এই আসনটি চলে যায় বিএনপি জোটের দখলে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের মাঠে সরব বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দল ও তাদের শরিক জোটের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক দলের অফিস থেকে ফুটপাথের চায়ের দোকান, সেলুনের দোকান সর্বত্রই চলছে ভোটের আলোচনা। কে পাচ্ছেন কোন দলের মনোনয়ন তা নিয়ে তর্কযুদ্ধ লেগেই আছে ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। অপরদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন মাঠমুখী।
অনেক প্রার্থী তার অতীত কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এলাকার উন্নয়নে কি করবেন তারও ফিরিস্তি দিচ্ছেন জনসংযোগগুলোতে। সবকিছু মিলে যশোর-৫ মণিরামপুর নির্বাচনী এলাকায় বইছে ভোটের হাওয়া। নতুন পুরনো দ্বন্দ্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিরোধ দিন দিন বাড়ছে। চলছে নিজেদের মধ্যে কাদা ছুড়াছুড়ি। দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত আওয়ামী লীগ। আর ভোটের জোটের শরিকদের বিরোধিতার মুখে বিএনপি। হাল ছাড়ছে না সরকারের শরিক জাতীয় পার্টিও।
বিগত নির্বাচনে এই আসনে নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন ভট্টাচার্য্য চাঁদ। তিনি দলের প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানকে চ্যালেঞ্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির ওই নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার অভিযোগে ১০টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন। পরে ওই ১০ কেন্দ্রের ভোটে অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন স্বপন ভট্টাচার্য। তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের বহিষ্কৃত নেতা এমপি স্বপন ভট্টাচার্য্য চাঁদকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হলেও আওয়ামী লীগে তৈরি হয়েছে চারটি বলয়।
মণিরামপুরে আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ দলাদলি চরমে। উপজেলায় দলীয় কর্মসূচিও চার গ্রুপ পালন করে পৃথক পৃথকভাবে। সম্প্রতি কমিটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর কোন্দল কিছুটা প্রশমিত হলেও নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি এখনো দৃশ্যমান। এ অবস্থায় যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী এক ডজন নেতার সামনে কোন্দল মোকাবিলা করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে বিএনপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকা দীর্ঘ না হলেও তাদের কাছে মাথাব্যথার বড় কারণ জোট শরিক জামায়াত ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম। জোটগত নির্বাচনে যশোর-১ ও যশোর-২ এর মতো যশোর-৫ আসনটিও বিএনপি বরাবর শরিকদের জন্য ছেড়ে দেয়। এবার শরিকদের জন্য ছাড় দিলে এ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব এবং হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মওলানা মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস।  এর আগে তিনি এ আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য হন। তিনি বলেন, ‘২০দলীয় জোটের স্বার্থে এবারও তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে।’
এছাড়া জামায়াতও আসনটি জোরেশোরে দাবি করছে। ইতিমধ্যে জামায়াতের শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ করছেন।
এ আসনে জাতীয় পার্টির দুজন নেতাও নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। অবশ্য তাদের নিয়ে ভীতি নেই আওয়ামী লীগে। বরং এ দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা ‘ভাগ্যের ছিঁকা’ নিজের অনুকূলে টানতে জোরেশোরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মাঠপর্যায়ে। যোগাযোগ করছেন দলের হাইকমান্ডের সঙ্গেও। ‘মামলার পাহাড়’ মাথায় নিয়েও বসে নেই বিএনপিসহ তাদের জোট শরিকরা। সমানতালে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারাও।
মণিরামপুরের ১৭টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত যশোর-৫ আসনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ২৩ হাজার ৪৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৩ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৯৯ জন। সংখ্যালঘু সমপ্রদায় অধ্যুষিত এ আসনটিকে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক বলে ধরে নেয়া হলেও ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০০১ এবং ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হন। দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে থাকায় এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয়ের মূল কারণ বলে মনে করেন সবাই। একই কারণে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের খান টিপু সুলতানকে হারিয়ে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্য। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার হন স্বপন। সম্প্রতি তাকে দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন এ আসনে টানা পাঁচবার দলীয় টিকিটে প্রার্থী হয়ে তিনবার এমপি হওয়া খান টিপু সুলতানও। ফলে এবার নিজেকেই ‘নৌকার’ প্রধান দাবিদার বলে মনে করছেন বর্তমান এমপি স্বপন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগও করছেন।
সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, তিনি কখনই দলের বাইরে না। এমপি হিসেবেও তিনি সবসময় দল ও এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে হাইকমান্ডের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। সবাই তার পক্ষেই মনোনয়ন দেখতে চান।
তবে বর্তমান এমপি স্বপনের মনোনয়নপ্রাপ্তির লড়াইয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন তার সহোদর অ্যাডভোকেট পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য গত দুইবার দলের মনোনয়ন না চাইলেও আগামী নির্বাচনে তিনি শক্ত দাবিদার হবেন। আওয়ামী লীগের শেষ কাউন্সিলে তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হওয়ায় তাকে ঘিরে এই নতুন মেরূকরণ শুরু হয়েছে। পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য বলেন, তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। নেত্রী চাইলে তিনি প্রার্থী হবেন।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা আব্দুল মজিদ এবং কামরুল হাসান বারী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সাঁটিয়েছেন। যাচ্ছেন নেতাকর্মী ও ভোটারদের কাছে। মনোনয়নের ব্যাপারে তারাও আশাবাদী।
নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় আসা এবং গণসংযোগ রক্ষাকারী নেতা আব্দুল মজিদ বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি না হয়েও ১৯৯৬-এর আওয়ামী লীগ আমলে মণিরামপুরের ৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করতে প্রধান ভূমিকা রেখেছি। ১৫২টি মাধ্যমিক ও ১৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন করেছি। পুরো জেলাতেও এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন হয়নি। সবসময় মানুষের জন্য কাজ করেছি। কখনও দুর্নীতি, গ্রুপবাজি করিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যশোরকে আরো এগিয়ে নিতে এ আসনে প্রার্থী হতে চাই।’
কামরুল হাসান বারী বলেন, ‘মণিরামপুরে নেতাকর্মীরা নির্যাতিত ও অবহেলিত হওয়ার কারণে এখন তারা বহুধাবিভক্ত। দলকে এককাতারে দাঁড় করাতে এ আসনে তার কোনো বিকল্প নেই।’
এদিকে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা তার স্ত্রী প্রফেসর ডা. জেসমিন আরা বেগমকে প্রার্থী করতে ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমাবেশসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। টিপু ভক্তদের ধারণা টিপু সুলতানের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তার স্ত্রীর পক্ষেই দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সহজ হবে। ডা. জেসমিন আরা বেগমও সকলকে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও দলের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর মোস্তফা বনি, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুচ আকবর এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক। তারা এ লক্ষ্যে তৎপরতাও চালাচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমিসহ অনেকেই মনোনয়ন চাচ্ছি। তার মানে এই নয় যে, আমরা বিরোধে জড়িয়ে পড়েছি। বরং আওয়ামী লীগ বড় দল। একাধিক নেতা মনোনয়ন চাইবেন- এটাই স্বাভাবিক। শেষ পর্যন্ত নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন নেতাকর্মী ও ভোটাররা তাকেই বিজয়ী করবেন। এ ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘২০০৬ সালে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। ওয়ান-ইলেভেন-এর কারণে ওই নির্বাচন বানচাল হলে পরবর্তীতে মনোনয়ন পান টিপু সুলতান। তার মৃত্যুবরণের পর এ আসনে আমিই মনোনয়নের প্রধান দাবিদার। তাছাড়া, বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগকে ক্ষয়িষ্ণু করার জন্য জামায়াত-বিএনপিকে যেভাবে আশকারা দিয়েছেন তাতে আওয়ামী লীগের ৯০ ভাগ নেতাকর্মী তার পক্ষে নেই।’
মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও দলের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু বলেন, ‘আমি মনোনয়ন চাইবো। নেত্রী বললে ভোট করবো। মনোনয়ন না পেলেও ‘নৌকা’র পক্ষে আছি।’
 স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা বর্তমানে জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতির জনকের আদর্শ বুকে ধারণ করে তিন যুগ ছাত্র-যুব আন্দোলনে আছি। এখন নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের মাঝে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা তুলে ধরছি ও এলাকার মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি। নেত্রী মনোনয়ন দিলে প্রার্থী হবো।’
অপরদিকে বর্তমান সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন ৩৮টি মামলার আসামি হওয়ার পরও দলের মধ্যে প্রায় একক নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। সরকারদলীয় নেতাকর্মী এবং প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে সাবধানে উপজেলা সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনসহ গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। শহীদ ইকবাল আসন্ন নির্বাচনে ২০দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপর নেতা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছা ইতিপূর্বে বিএনপি ছেড়ে এলডিপিতে যোগ দেন। কিন্তু ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচনের সময় তিনি পুনরায় বিএনপিতে ফিরে এসে দলীয় সমর্থনে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। তিনিও এবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জোট থেকে প্রার্থী হতে। এ দল থেকে মনোনয়ন পাবার আশায় সাবেক ছাত্রদল নেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি এলাকায় গণসংযোগ করছেন।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান যশোর নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চুও। তরুণ এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমার বাবা মরহুম আফসার আহমেদ সিদ্দিকী মণিরামপুর থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমি তার রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে ওই আসনে মনোনয়ন চাইলে তা অযৌক্তিক হবে না।’
এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে চান সাবেক এমপি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস। তিনি মনে করেন, জোটবদ্ধ নির্বাচনের কারণে এবার বিএনপি এই আসনটি অতীতের মতো শরিকদের জন্য ছাড় দিলে এ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব এবং হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মওলানা মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস। এর আগে তিনি এ আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য হন। তিনি বলেন, ‘২০দলীয় জোটের স্বার্থে এবারও তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।’
আসনটিতে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন দাবিদার দুজন। এরা হলেন পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী ও উপজেলা সভাপতি এমএ হালিম। এরশাদের ছবি সংবলিত রঙিন পোস্টার-ফেস্টুন টানিয়ে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন ভোটারদের মাঝে।

আগামীকাল: ভোলা-২
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর