× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অসত্য কথা বলেছেন’

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ এপ্রিল ২০১৮, বুধবার

তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্য অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তারা বলেছেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অসত্য ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছেন। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এ সময় সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, পাসপোর্ট একটি ট্রাভেল ডকুমেন্ট। এই ডকুমেন্ট আমার কাছে না থাকলেই আমি নাগরিকত্ব হারিয়ে ফেলব না। সরকার বলছে তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছে। তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হারিয়ে ফেলেছেন বলে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে এটি সঠিক নয়। জয়নুল আবেদীন বলেন, নাগরিকত্ব দু’ভাবে হয়ে থাকে।
তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি এই দেশের নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেননি। তিনি বলেননি যে আমি এই দেশের নাগরিত্ব সারেন্ডার করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিলাম। সরকারকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। আমরা বলেছি যে তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিক। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওই চিঠিটা সঠিক কি না- এ নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। চিঠিতে কোথাও তারেক রহমানের নাগরকিত্ব বর্জনের কথা উল্লেখ নেই। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অসত্য কথা বলেছেন। অসত্য ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। সরকার খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে বন্দি করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে করে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জয়নুল আবেদীন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে যে কারাগারে রাখা হয়েছে সেই কারা ঘরটি কোনো সিডিউল কারা ঘর নয়। এটি একটি নির্জন জাদুঘর। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে খালেদা জিয়াকে এই কারাগারে রেখে অসুস্থ বানিয়েছে। জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে শয্যাশায়ী। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি এতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে নির্জন কারা ঘরে বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জয়নুল আবেদীন বলেন, কালবিলম্ব না করে খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে স্পেশালাইজড হাসপাতালে (ইউনাইটেড হাসপাতাল) নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর