বান্দরবানে বিএনপির কর্মী সম্মেলন ২৮শে এপ্রিল
বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবান জেলা বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। সেই সাথে আগামী ২৮শে এপ্রিল নির্বাচিত চার উপজেলা চেয়ারম্যানদের আয়োজনে জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। বান্দরবান জেলা বিএনপির একাংশ (সাচিং প্রু জেরী) সমর্থিত নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠকে তিনি এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

নাগরপুরে ছাত্রদল সভাপতির মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা
নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: নাগরপুর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রদল ও কলেজ ছাত্রদল এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহম্মদ আলী রানা, যুবদলের আহ্বায়ক ফনির হোসেন ভূইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম দিপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাকেকুর রহমান ছাদেক, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. জাহিদ হাসান প্রমুখ।

বুড়িচংয়ে ৯ লাখ ভারতীয় রুপিসহ মহিলা আটক
বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার বুড়িচং থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী পাঁচোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ ভারতীয় মুদ্রা (রূপি) সহ নিলুফা বেগম (৪৫) নামে এক মহিলাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় পলাতক আরো ২ জনসহ ৩ জানের নামে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

মহেশপুরে ছুরিকাঘাতে বাবা-ছেলে জখম
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী জলুলী গ্রামে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবা আকবার আলী (৬৫) ও ছেলে শাহাজামালকে (৩২) গভীর রাতে বাড়িতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে। এ সময় বাড়ীর আশপাশের প্রতিবেশীরা শাহীন ও নয়ন নামের দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার গভীর রাতে মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের জলুলী গ্রামে।

চারঘাটে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে : রাজশাহীর চারঘাটে গাছ চুরির মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছোট ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চারঘাটের ঝিকরা গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শৈলকুপায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৫ সহকারী শিক্ষককে পিটিয়েছে স্কুল কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জেল হোসেন। এ ঘটনায় ফুসে উঠেছে স্কুলের শত শত শিক্ষর্থী। মঙ্গলবার দিনব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে। এ সময় তারা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হাটফাজিলপুর বাজার অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সভাপতির ক্যাডার বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়।

চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলা আজ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ঐতিহ্য আবদুল জব্বারের বলীখেলা আজ। এ খেলাকে ঘিরে চলছে বৈশাখী মেলা; যা বাঙালির শেকড় ও প্রাণের মেলা। বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকার সবচেয়ে বৃহৎ এ বৈশাখী মেলা শুরু হয় ২৩শে এপ্রিল সোমবার থেকে।
২৫শে এপ্রিল বিকালে জব্বারের বলী খেলা দিয়ে শেষ হবে প্রাণের এই মেলা। চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দান ঘিরে ইতিমধ্যে রঙ ছড়াচ্ছে এই মেলা। প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে বসেছে এই মেলা। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় লোকজ উৎসব হিসেবে পরিচিত এই বৈশাখী মেলা। নগরায়ণের থাবায় লোকজ আচার-অনুষ্ঠান যখন হ্রাস পাচ্ছে সেখানে চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা বিলুপ্তির হাত থেকে নিজেকে এখনও রক্ষা করে জৌলুস ধরে রেখেছে। শত বছর পার করা এই মেলা বাঙালির জীবনের বর্ণিল প্রতিচ্ছবি হয়ে আছে। এমন মন্তব্য আয়োজকদের।
আয়োজকদের ভাষ্য, বলী খেলাকে ঘিরে গড়ে ওঠা মেলা নিয়ে মানুষের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস এখনো এতটুকু কমেনি। বাংলাদেশে এ মেলা এখন চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের মেলা ও মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরই সবাই অপেক্ষা করে ঐতিহ্যের বলীখেলা ও মেলার জন্য। আয়োজক কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, বলী খেলার ১০৯তম আসর এটি। আগামী ১২ই বৈশাখ, ২৫শে এপ্রিল বুধবার লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলা। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার ও প্রধান অতিথি থাকবেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ইতিহাসে জানা যায়, ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এ প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এ প্রতিযোগিতা জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিতি লাভ করে।
জব্বারের বলীখেলা ও মেলাকে ঘিরে নগরজুড়ে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। নগরবাসীর মনে দেখা দেয় বাড়তি আনন্দ। দূর-দূরান্ত থেকে বলীখেলা দেখতে ও মেলায় ঘুরতে আসে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষ। তীব্র গরম ও ভিড় উপক্ষো করে সকলেই ঘুরে বেড়ায় মেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। তবে মহিলারা ঐতিহ্যের বলীখেলা উপভোগ করা থেকে প্রতিবছরই বঞ্চিত হয়। কারণ মহিলাদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা থাকে না।

নগরীর আন্দরকিল্লা, বক্সিরহাট, লালদীঘি পাড়, কে সি দে রোড, সিনেমা প্যালেস, শহীদ মিনার সড়ক, কোতোয়ালি মোড়, জেল রোডসহ প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে এ মেলার বিস্তৃতি ঘটে। ওই সড়কগুলোয় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে তিনদিনের জন্য। যাতায়াত ব্যবস্থায় জনসাধারণের সাময়িক দুর্ভোগ হলেও এই বলীখেলার উৎসবে এসে সবকিছুই ভুলে যান এক নিমিষেই। কারণ এই মেলা হাজার বছরের বাঙালির লোকসংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেয় বারবার।
বিভিন্ন জেলা-উপজেলার গ্রাম-গ্রামান্তর থেকে বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার এক-দুদিন আগে চলে আসেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ীরা। তারা সড়কের দুই পাশ জুড়ে চৌকি বসিয়ে আবার কেউ মাটিতে চট দিয়ে অবস্থান নেন। থাকা-খাওয়া সবই একসঙ্গে। অনেকে নির্ঘুম রাত কাটান।
এ মেলার অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকার কুটির শিল্পকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সাংসারিক নিত্য ব্যবহার্য ও গৃহস্থালী পণ্যের প্রতি বছরের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে এই মেলা। তাই গৃহিণীদের পছন্দের তালিকায় থাকে এই মেলার পণ্যসামগ্রী।
কী নেই মেলায়- হাতপাখা, শীতল পাটি, ঝাড়ু, মাটির কলস, মাটির ব্যাংক, রঙিন চুড়ি, ফিতা, হাতের কাঁকন, বাচ্চাদের খেলনা, ঢাক-ঢোল, মাটি ও কাঠের পুতুল, বাঁশি, তৈজষপত্র, আসন, চৌকি, খাট, আলমারি, ফুলদানি, তালপাখা, টব, হাঁড়ি-পাতিল, দা-ছুরি, কুলা-চালুন, টুকড়ি, পলো, বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা, মুড়ি, মুড়কি, লাড্ডু, জিলাপি আরো কত কী। তবে মেলায় সবচেয়ে বেশি থাকে ঝাড়ুর চাহিদা। কয়েক লাখ টাকার ঝাড়ু বিক্রি হয় প্রতি বছরের মেলায়। এরপরেই থাকে হাতপাখার চাহিদা।
চাহিদার সবকিছুই পাওয়া যায় এই মেলায়। তাই চট্টগ্রামবাসীরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। সবাই অপেক্ষায় থাকে প্রতি বছরের দিনটির জন্য। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠে এ মেলা। তখন মেলা পরিণত হয় মিলনমেলায়।