× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুক্তরাষ্ট্র-উ. কোরিয়ার সংলাপ নিয়ে গভীর উদ্বেগ চীনের

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৬ বছর আগে) এপ্রিল ২৫, ২০১৮, বুধবার, ১:২৮ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সমঝোতা সংলাপ অত্যাসন্ন। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে চীন। তারা মনে করছে এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে চীনের বলয় থেকে বের করে নিচ্ছে নেতা কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক রক্তের। কোরিয়ান যুদ্ধের সময় উত্তর কোরিয়াকে রক্ষা করতে গিয়ে মাও সেতুংয়ের ছেলে সহ কমপক্ষে এক লাখ ৩০ হাজার চীনা সেনা নিহত হয়েছেন। তারপরও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক অতোটা স্বাভাবিক নয়। ব্যবসা বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সমর্থনের জন্য বেইজিংয়ের ওপর নির্ভর করে পিয়ংইয়ং। তা হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক বেশি বড় দেশ চীনের ওপর লিটল ব্রাদারসুলব মনোভাব পোষণ করে থাকে উত্তর কোরিয়া।
সেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এখন বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাকে নিয়ে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। ফলে এতদিনের ‘রকেট ম্যান’ এখন বড় মাপের একজন রাজনীতিকের তকমা পেতে চলেছেন। প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন ও ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। এতেই চীনের উদ্বেগ বেড়েছে। তারা মনে করছে এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া তাদের বলয় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিম জং উনকে আলোচনার টেবিলে ফেরত আনতে চীনের অর্থনৈতিক চাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এক্ষেত্রে বেইজিং এটা ভেবে উদ্বিগ্ন যে, কিম জং উন হয়তো এমন চুক্তি করতে যাচ্ছেন, যাতে তাদের পুরনো শত্রুরা ঘনিষ্ঠ হবে। বেইজিংয়ে টিঙ্গহুয়া কারনেজ সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসির পারমাণবিক নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ তোং ঝাও বলেছেন, চীনা সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম একটি উৎকণ্ঠা রয়েছে। তা হলো, হয়তো পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনকারী উত্তর কোরিয়াকে নিজেদের মিত্র বলে মেনে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। না হয় তাদেরকে একটি বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। এমন যদি হয় তাহলে তাতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার টান টান কূটনৈতিক সম্পর্কে আরো টান ধরতে পারে। কারণ, বাণিজ্যে করআরোপ নিয়ে এরই মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হয়ে গেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর