রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আব্দুস সালাম হত্যাকা-ের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। বুধবার সকালে রুয়েট’র সকল কর্মচারী কাজ বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এতে নগরীর বিভিন্ন রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাস ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়নি।
আন্দোলনকারীদের ৩ দফা দাবি হলো- সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকা-ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সরিয়ে নতুন গার্ড নিয়োগ এবং ক্যাম্পাসজুড়ে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার ও পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরায় তদারকির আওতায় নিয়ে আসা।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনকারীরা কর্মচারী আব্দুস সালাম হত্যাকা-ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। তাদের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় বুধবার অনির্দিষ্টিকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে রুয়েট’র প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি প্রধান ফটক দিয়ে তালাইমারী মোড় হয়ে পুনরায় রুয়েট’র প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে আন্দোলনকারীরা আবদুস সালামের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ এ ৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা দাবির পক্ষে বিভিন্ন সেøাগান দেন।
বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। পরে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশ করে।
মামলার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, মামলার তদন্তের বিষয়ে আমার কাছে তথ্য নেই। অপর ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলমের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশনা দেন তিনি। কিন্তু, মাহবুব আলম (ওসি-তদন্ত) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ জানিয়ে শাহাদত হোসেনের (ওসি) সঙ্গে কথা বলতে বলেন।