× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কোচিং করতে রাজি না হওয়ায় ৭ শিক্ষার্থীকে টিসি

বাংলারজমিন

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার

স্কুল কক্ষে ৬০০ টাকার বিনিময়ে কোচিং করতে রাজি না হওয়ায় ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া ভোলানাথ স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির সাত শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক টিসি (ছাড়পত্র) দিয়ে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার বিকালে টিসি হাতে পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। গতকাল বুধবার আরো ২৫ শিক্ষার্থীকে টিসি দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। এতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবম শ্রেণির ৩২ জন শিক্ষার্থীই এর প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।  

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সরকারিভাবে স্কুলে কোচিং করানো নিষেধ থাকলেও গত মঙ্গলবার ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া ভোলানাথ স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন নবম শ্রেণিতে উপস্থিত ৩২ জন শিক্ষার্থীকে ৬০০ টাকা করে প্রতি মাসে দিয়ে স্কুল কক্ষেই কোচিং করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোচিং করতে রাজি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক নবম শ্রেণির হিমেল, রাজু, জুবায়ের, সুজন, শিপন, মনির ও ফারুক নামে সাত শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলা অমান্য করার অভিযোগ এনে টিসি দিয়ে ক্লাস রুম থেকে বের করে দেন। এরপর ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীরাও এর প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ ও স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় প্রধান শিক্ষক বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় নবম শ্রেণির অপর ২৫ শিক্ষার্থীকেও গতকাল বুধবার টিসি দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন। এরপরই শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরে বিকাল ৬টার দিকে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়।

 এ ব্যাপারে ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া ভোলানাথ স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন সাত শিক্ষার্থীকে টিসি দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের স্কুল এমপিওভুক্ত হয়নি। আমরা স্কুলে কোচিং করে টাকা নিতেই পারি। এখানে দোষের কিছু নেই। তবে গতকাল বুধবার অপর ২৫ শিক্ষার্থীকেও টিসি দেয়ার হুমকির কথা অস্বীকার করেছেন।   

এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নায়ার সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি বিকালে শুনেছি। আজ বুধবার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর