শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরে সমপ্রতি ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও দুই ওয়ার্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শ শ শিশু শিক্ষা হতে বঞ্চিত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। দেখার মতো কেউ নেই। ৪ ও ৬নং ওয়ার্ডে এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, তৎকালীন পাকিস্তান ও দেশ স্বাধীনের পর হতে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরশহরে ১, ২, ৩, ৫, ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় ৯টি ওয়ার্ডে ওই এলাকার শিশুরা শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে । অথচ ৪ ও ৬নং ওয়র্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শ শ শিশু শিক্ষা হতে ঝরে পড়ছে। ফলে ৪নং ওয়ার্ডের এলাকাগুলো হলো দাউদ নগর, দাউদনগর বাজার, চরনুর আহাম্মদ মহল্লা নিয়ে ২ হাজার ভোটার ও ৬নং ওয়ার্ডে পশ্চিম লেনজাপাড়া মহল্লা নিয়ে ২ হাজার পাঁচ শ ভোটার বসবাস করছে। এদিকে দুটি ওয়ার্ডে অসংখ্য রেলের পরিত্যক্ত ভূমি ও সরকারি খাসজমি থাকলেও ভূমি খেকোদের দখলে রয়েছে। এসব খাস ভূমিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হলে উপকৃত হবে বলে দুটি ওয়ার্ডের অভিভাবকদের সন্তানরা শিক্ষায় এগিয়ে যাবে। অপরদিকে দুটি ওয়ার্ডের হতদরিদ্র অভিভাবকরা অর্থের অভাবে দূর-দূরান্ত সন্তানদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে চায় না।
এছাড়া অনেক অভিভাবক সন্তানদের রেল ও যানবাহনের ভয়ে বিদ্যালয়ে পাঠাতে ইচ্ছুক নয়। যেসব এলাকায় নিকটস্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবিধা রয়েছে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুবিধা ভোগ করে আসছে। দুটি ওয়ার্ডের একাধিক অভিভাবক বলেন, এক বা অর্ধ কিলোমিটার দূরে ২নং ওয়ার্ডে রেলওয়ে কলোনি ও ৩নং ওয়ার্ডে পূর্ব বড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশুদের পড়ালেখা করতে যেতে হয়। এতে রেল ও যানবাহনের কবলে পড়তে হয় প্রতিদিন শিশুদের। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেকটি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিলেও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরশহরে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত হলেও ৪ ও ৬নং ওয়ার্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় অভিভাবকরা হতাশায় ভোগছেন।