পাকুন্দিয়ায় কাঞ্চন (৩০) নামে এক লম্পটের পাশবিক লালসার শিকার হয়ে সাড়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী এখন অন্তঃসত্ত্বা। অভিযুক্ত ধর্ষক কাঞ্চন উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী গত ১০ই এপ্রিল কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষক কাঞ্চনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক পাকুন্দিয়া থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা অনুযায়ী পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হলেও অভিযুক্ত ধর্ষককে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলায় বলা হয়, দরিদ্র ঘরের ওই কিশোরী স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত বছরের ১১ই নভেম্বর দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাহাদিয়া আকন্দ বাড়ির পিছনের রাস্তা থেকে অভিযুক্ত কাঞ্চন কিশোরীর গলায় ছুরি ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। কিশোরীর পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত কাঞ্চনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিচারপ্রার্থী হলে কাঞ্চন কিশোরীকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি নিয়ে বলাবলি না করার অনুরোধ করে।
ধর্ষক কাঞ্চনের এই আশ্বাসে কিশোরীর পরিবার আশ্বস্ত হলেও কাঞ্চন কালক্ষেপণ করতে থাকে। ধর্ষণের ফলে কিশোরীর শরীরে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে গত ৯ই এপ্রিল কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের কাছে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখা যায়, কিশোরী ২১ সপ্তাহর অন্তঃসত্ত্বা। এ পরিস্থিতিতে কিশোরী ধর্ষক কাঞ্চনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করার কথা বললে কাঞ্চন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম জানান, ট্রাইব্যুনালের আদেশে থানায় মামলাটি রেকর্ডের পর ভিকটিমের মেডিকেলসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আগে দেনদরবার হওয়ায় আসামি সতর্ক ছিল।
মামলা দায়েরের খবর পেয়ে সে গাঢাকা দিয়েছে। তবে আসামিকে ধরতে তারা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম জানিয়েছেন।