দোয়ারাবাজারে হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে লিঙ্গ কর্তন করা হয়েছে। মৃত্যু পথযাত্রী এখন রঞ্জিত বিশ্বাস। তিনি উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের সুধির বিশ্বাসের পুত্র রঞ্জিত বিশ্বাস (৩৮)। জানা যায়, তার পুরুষ লিঙ্গে সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারি পরামর্শের জন্য সম্প্রতি দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পশ্চিমবাজারস্থ তামান্না ফার্মেসির মালিক জামাল উদ্দিন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। হাতুড়ে ডাক্তার তাকে লিঙ্গ অপারেশনের কথা বলেন। দুদিন পর জামাল ডাক্তার নিজেই রঞ্জিতের পুরুষ লিঙ্গ অপারেশন করেন। অপারেশনের পর লিঙ্গ না শুকিয়ে ক্ষত ও ইনফেকশনের স্থানে পচন দেখা দেয়। জামাল ডাক্তার লিঙ্গের অবস্থার অবনতি দেখে রঞ্জিত বিশ্বাসকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে বলেন। সুনামগঞ্জ মেডিকেল অফিসার তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রঞ্জিতের সঙ্গে আলোচনা করে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ১০ই এপ্রিল দ্বিতীয় দফা অপারেশনের মাধ্যমে তার সম্পূর্ণ লিঙ্গ কেটে ফেলা হয়।
ওই হাতুড়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ভুল চিকিৎসা ও নিম্নমানের ওষুধ বেচা-কেনার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে হাতুড়ে ডাক্তার জামাল উদ্দিনের ফার্মেসি বন্ধ রয়েছে। মৃত্যুপথযাত্রী রঞ্জিত বিশ্বাস প্রতিবেদককে জানান, জামাল উদ্দিন যে কেমন ডাক্তার আমার জানা ছিল না, আমি ভাবতাম সরকারি এম বি বি এস পাস করা ডাক্তার। এজন্য তার কাছে আসি। আজ আমি মৃত্যু পথযাত্রী, আমার তিন সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। আমার জমাজমি ও অর্থ সম্বল কিছু নাই। আমার জীবন শেষ তবু বাঁচার আকুতি। তবে ডা. জামাল উদ্দিন বলেন, আমি খতনা করেছি তবে তার আগেই সমস্যা ছিল।