রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাপুরের এক গৃহবধূর ইজ্জতের মূল্য ৬০ হাজার টাকা এবং সাদা স্ট্যাম্পে ধর্ষক ও ধর্ষিতার স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল ভোরে ধর্ষিতা গৃহবধূ লোকলজ্জায় গ্রাম ছেড়ে অন্যত্রে পালিয়ে গেছে। সৃষ্ট ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ইছাপুর ইউপির নারায়ণপুর ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত মেম্বার বিল্লাল হোসেন আত্মগোপন করে পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
সূত্রে জানায়, উপজেলার ইছাপুর ইউপির নারায়ণপুর ওয়ার্ড মেম্বার বিল্লাল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের এক গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করেছে। গত ১৬ই এপ্রিল রাতে গৃহবধূকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ঢাকায় অবস্থানরত স্বামীকে জানায়। স্বামী এলাকাবাসী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে বিচার প্রার্থী হয়। এ সুযোগে ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহিদ উল্যা, গ্রাম্য মাতব্বর ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মঞ্জু, মফিজ উল্যাহ প্রকাশ গরু মফিজসহ ৮ জন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে চেয়ারম্যানের বাসভবনে সালিশি বৈঠক বসে।
বৈঠকে ধর্ষণে অভিযুক্ত বিল্লাল মেম্বার এবং ধর্ষিতা গৃহবধূ ও তার স্বামীর ১৫০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ধর্ষিতার ইজ্জতের মূল্য ৬০ হাজার টাকা রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন মেম্বার বলেন, কয়েক মাস পূর্বে একটি অপরাধের কারণে আমি ওই গৃহবধূর স্বামীকে জুতাপিটা করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। ঘটনার জের ধরে সে তার স্ত্রীকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বৈঠক ডেকে সমাধান করে দিয়েছে। ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহিদ উল্যা জানান, আমি এলাকার থেকে অনেক দূরে। সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো বলেই মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তোতা মিয়া জানান, বিষয়টি আমি জানি না এবং কেউ আমাকে জানায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।