× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তোলারাম কলেজকে টর্চার সেল বানানো সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার

সমপ্রতি সরকারি তোলারাম কলেজে সাধারণ ছাত্রদের ওপর ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করে বুধবার সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, সমপ্রতি নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা জনমনে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জবাসীকে ভয়ের মধ্যে রেখে নিজেদের অবৈধ অর্থ ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য শহরে টর্চার সেল পরিচালনা করে খুন, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন নির্যাতন করে আসছে তারা এখনো পর্যন্ত বেপরোয়াভাবে তা অব্যাহত রেখেছে। তারা এ টর্চার সেলের তালিকায় নতুন করে যুক্ত করেছে সরকারি তোলারাম কলেজকে। ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জ শহরে দীর্ঘদিন ধরে টর্চার সেল পরিচালনা করে আসছে। তাদের আল্লামা ইকবাল রোডের টর্চার সেলে ২০১৩ সালের ৬ই মার্চ তারা তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে হত্যা করে। এরপূর্বে তরুণ ব্যবসায়ী আশিকুল ইসলামকে এখানে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে র‌্যাব এ টর্চার সেলে অভিযান পরিচালনা করে নির্যাতনের বহু আলামত জব্দ করে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে জামতলা হেনা টাওয়ারে তারা মো. আলী রাজু নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে। সরকারি তোলারাম কলেজকেও এখন তারা টর্চার সেলে পরিণত করেছে। গত ২৩শে এপ্রিল সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী সৌরভ হোসাইনকে কলেজে ডেকে নিয়ে শামীম ওসমানের অনুগত ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। এর আগে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান সুপ্তি ও সাবিত আল হাসানকে এ সন্ত্রাসীরা নাজেহাল করে। এর আগে আরো বহু ছাত্রদের এমনিভাবে কলেজ সংসদ কক্ষে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। নির্যাতনের পরে ছাত্রদের কাছ থেকে এই মর্মে অঙ্গীকার রাখা হয় যে, এ ঘটনা বাইরে প্রকাশ করতে পারবে না। করলে কলেজে তাদের শিক্ষা জীবন বিপন্ন করা হবে। কলেজ অধ্যক্ষ স্বয়ং এ অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করেন। ওসমান পরিবারের অনুগত অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসব নির্যাতনে মদত দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিপক্ষ ছাত্রদের কখনো শিবির কখনো বাম সংগঠনের কর্মী প্রমাণের চেষ্টা করে, কখনো বা পকেটে বা ব্যাগে মাদক রেখে এসব নির্যাতনকে বৈধ করার চেষ্টা করে। এ সন্ত্রাসী বাহিনীই গত বছর নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে হামলা করেছে। সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ বিভিন্ন সময়ে এসব সন্ত্রাসী হামলা ও নির্যাতনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা ও অভিযোগ দায়েরের পরেও প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আজকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।’’ আমরা প্রশাসনকে ছাত্রনামধারী এসব সন্ত্রাসীর দ্রুত গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শিক্ষক নামধারী কতিপয় সুবিধাভোগীদের দ্রুত অপসারণ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা কলেজে সাধারণ ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কলেজ ক্যাম্পাস, মাঠে, সংসদসহ বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, সদস্য সচিব হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এড. এবি সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজল, সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর