× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ পিছিয়েছে

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ আবারো পিছিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আগামী ৪ঠা মে  ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণের কথা আগে জানানো হলেও এখন ৭ই মে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। গতকাল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: সম্ভাবনার মহাকাশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। বিটিআরসি ও টেলিকম খাতের রিপোর্টারদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) এ যৌথ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন টিআরএনবি সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সজল। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে, ৪ তারিখ যে উৎক্ষেপণের তারিখ, তা ঠিক থাকছে না। সম্ভাব্য তারিখ হচ্ছে আগামী ৭ই মে। মন্ত্রী বলেন, উৎক্ষেপণের সময়ে যে পরিবর্তন আসতে পারে, সে কথা আগেই জানানো হয়েছিল।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে, তাতে ৭ই মে আবহাওয়া অনুকূলে থাকবে বলে আশা করা যায়। আশা করি, এটাই চূড়ান্ত হবে। তবে বিষয়টা আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। আশা করি ৭ তারিখেই হয়ে যাবে। তাও আমরা ৪ থেকে ৫ দিন পর নিশ্চিত হবো। স্পেসএক্স-এর আগে গত বছর ১৬ই ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। কিন্তু হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ স্থল ফ্লোরিডায় সরকারের ৪২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হওয়ার পর জাতীয়ভাবে তা উদযাপন করা হবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা যখন স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে শুরু করবো তখন নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবো। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট শুধুমাত্র কারিগরি বা ব্যবসার বিষয় নয়, এটি আমাদের গর্বের বিষয়। আমার মনে হয়েছে আমাদের প্রস্তুতি যতটুকু করা সম্ভব ছিল তার কোনোটার কোনো কমতি নাই। ভবিষ্যতের ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এরপর ২, ৩ ও ৪ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এখন অপরিহার্য ভাবনা। বাংলাদেশের যারা যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভর করেন, তাদের বঙ্গবন্ধুতে চলে আসার আহ্বান জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, যে সময় অপারেশনে যাবো, আপনারা যেন আমাদের স্যাটেলাইটে চলে আসেন, কোনো সমস্যা হলে ওভারকাম করার চেষ্টা করবো। বিটিআরসি নতুন প্রযুক্তির প্রতি খুবই ওপেন, আপনাদের কোনো প্রস্তাব থাকলে বা সুবিধার বিষয় থাকলে আমরা তা দেখবো। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পের পরিচালক মো. মোজবাউজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে গ্রাউন্ড স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন কেবল কিছু ‘কানেকটিভিটির’ কাজ বাকি রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান বলেন, সরকারের দুটি মাত্র কোম্পানি কেরু আর সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লাভজনক। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান লাভজনক না। এখানে বলা হচ্ছে, আগামী ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিনিয়োগের পুরো টাকা উঠে আসবে। এটা শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু আমরা যদি ক্যাপাসিটি বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিক্রি করতে না পারি, তাহলে সেলিব্রেশন করে লাভ নেই। বিপণনের ক্ষেত্রে সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ যেন এনটিটিএনগুলোর (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) কাছে জিম্মি না হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, তিন হাজার কোটি টাকা, আমি ৭/৮ বছরের কথা বলছি না, বিনিয়োগের টাকা যেন উঠে আসে, সেভাবে কাজ করতে হবে। একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যে অরবিটাল স্পটে (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) স্থাপন করা হবে, তার মাধ্যমে কাজ করা বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোর জন্য হবে একটি চ্যালেঞ্জ। টেলিভিশন স্টেশনগুলো যাতে স্যাটেলাইটের সুবিধা পায়, সেজন্য যা করা দরকার তা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২৬টি রাখছেন কেইউ-ব্যান্ডে। এ ব্যান্ডে টেলিভিশন চালাতে পারি না, এক ফোঁটা বৃষ্টি হলেও ফ্রিকোয়েন্সি কাজ করে না। ১৪টি সি-ব্যান্ডের জন্য আমরা আগ্রহী। অন্যদের মধ্যে এডিএন টেলিকমের চিফ অপারেটিং অফিসার নাইম মোহাম্মদ ফাজলুন, ব্র্যাক ন্যানো স্যাটেলাইট প্রকল্পের পরিচালক খলিলুর রহমান এ গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর