× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এসডিজি অর্জনে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর অধিক হারে কর বৃদ্ধি করতে হবে’

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার

পৃথিবীর যে সব দেশের মধ্যে তামাক পণ্য সস্তা তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তামাক কোনো মৌলিক প্রয়োজনীয় দ্রব্য নয় বরং স্বাস্থ্যহানিকর বিলাসবহুল পণ্য এবং এটি একটি পণ্য যা তার ভোক্তার মৃত্যু ডেকে আনে। কাজেই এধরনের পণ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিতকরণ এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এর ওপর উচ্চহারে কর আরোপ জরুরি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট-এর আয়োজনে “এসডিজি অর্জনে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বৃদ্ধির গুরুত্ব” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা  এসব  কথা  বলেন।  সেমিনার সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট-এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশ টাকা খরচ হচ্ছে শুধুমাত্র তামাকে ব্যবহারে সৃষ্ট রোগের চিকিৎসার জন্য। তামাক নিয়ন্ত্রণ এসডিজির লক্ষ্য পূরণ সহায়ক। কিন্তু আমাদের তামাক কর কাঠামো খুবই দুর্বল।
তামাকের ওপর কর আরোপে কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করে সঠিকভাবে কর আরোপ করতে পারলে তামাক থেকে ১০০ বিলিয়ন টাকা আদায় সম্ভব। জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) সভাপতি ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) উপদেষ্টা মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, বিগত কয়েক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেলেও তামাকজাত দ্রব্যের দাম সে হারে বৃদ্ধি পায়নি বরং মুদ্রাস্ফীতি ও মানুষের আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তামাকের প্রকৃত মূল্য কমেছে। সুতরাং তামাকজাত দ্রব্যের চাহিদা কমাতে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি এর প্রকৃত মূল্য ও তামাকজাত দ্রব্যের ওপর নির্দিষ্ট হারে কর বৃদ্ধি করে এটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনে আমরা সফল হয়েছি। এবার এসডিজি অর্জনে আমাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তামাক কোম্পানি থেকে আমাদের কত টাকা আয় হচ্ছে তা মূল বিষয় নয়। আমাদের দেশে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে যে মৃত্যু হচ্ছে তা রুখতে তামাকের ওপর উচ্চ হারে আরোপ করতে হবে। সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর