× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইমরুলের সেঞ্চুরির দিনে ফরহাদের ‘পাঁচ’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) শিরোপা জিততে ঝুঁকি নিতেও পিছপা হয়নি প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে বিসিবি উত্তরাঞ্চলকে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেয়। এরপর ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরি ও এনামুল হক বিজয়ের ৮৯ রানে বড় সংগ্রেহের ভিত পায়। তবে দু’জন আউট হলে ৩৬৫ রান উঠতেই হারায় ৮ উইকেট। দারুণ শুরুর পর ফরহাদ রেজার ৫ শিকারেই এলোমেলো হয়ে যায় দক্ষিণের ব্যাটিং। কিন্তু ১৭৮ রানের লিড হলেও জয়ের কৌশলে ঝুঁকি নেন অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, অধিনায়ক ফের ভরসা রেখেছেন বোলারদের উপর। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলাররা বিসিবি উত্তরাঞ্চলকে চেপে ধরতে পারলে বাড়বে তাদের জয়ের সম্ভাবনা।
অন্যদিকে প্রথম ইনিংসের মতো শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েনি উত্তরাঞ্চল। এদিন কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে শেষ বিকালে ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে জমা করে ৩২ রান। হাতে ১০ উইকেট আছে তবে এখনো পিছিয়ে ১৪৬ রানে। উত্তরাঞ্চলের দুই ওপেনার মিজানুর ১৭ ও জুনায়েদ ১৪ রানে অপরাজিত থেকে আজ তৃতীয় দিন শুরু করবেন। 
গতকাল খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। দিনের প্রথম ঘণ্টা ভালোভাবেই কাটিয়ে দেন  আগের দিন ফিফটি পেয়ে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যান এনামুল ও ইমরুল। চার হাঁকিয়ে ১৪৭ বলে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৭তম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ইমরুল। হাঁকান ১৩ চার ও দুটি ছক্কা। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১০৭ রানে ফিরে যান ফরহাদ রেজার বলে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ইমরুলের বিদায়ে ভাঙে এনামুলের সঙ্গে ১৮৪ রানের জুটি।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর খেলা শুরু হলে বড় আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়  ওপেনার বিজয়কে। তাকেও  সাজঘরের পথ দেখান রেজা। ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। তার ১৭৩ বলের ইনিংসটি গড়া ৭ চার ও দুই ছক্কায়। এরপর ছন্দে থাকা দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে ৩’শ ছাড়ায় দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ। মিঠুনকে এলবিডব্লিউ করে ৯৫ রানের জুটি ভাঙেন আরিফুল হক। মিঠুন করেন ৪৯ রান। ব্যক্তিগত ৬৫ রানে থামেন তুষার। এরপর অধিনায়ক নূরুল হাসান ও নাহিদুল হাসান সমান ১৫ রান করে আউট হন। উত্তরের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা নেন ৫ উইকেট। ১১২ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি ফরহাদ রেজার সপ্তম ৫ উইকেট শিকার।
মজিদের ডাবলের জবাবে
লিটনের সেঞ্চুরি
বিসিএলের শেষ রাউন্ডে রাজশাহীতে বইছে রানের বন্যা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আবদুল মজিদের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৫৪৬ রানে থামে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের প্রথম ইনিংস। আর লিটনের অপরাজিত ১৩৯ রানে দারুণ জবাব দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলও। তাদের স্কোর বোর্ডে উঠেছে ২৬৪ রান ৩ উইকেট হারিয়ে। তারা পিছিয়ে ২৮২ রানে। অন্যদিকে আবদুল মজিদ আগের দিন দেড়শ ছাড়িয়ে মাঠ  ছেড়েছিলেন অসুস্থ হয়ে। দ্বিতীয় দিনে ফিরে মজিদ ইনিংসটিকে রূপ দিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। তিনি শেষ পর্যন্ত ২৪৬ বলে ২০৫ রান করেন। হাঁকান ২২টি চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। আগেরটি ছিল ২৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। পূর্বাঞ্চলের হয়ে ৫ উইকেট নিলেও সোহাগ গাজী খরচ করেছেন ১৮৮ রান। প্রথম  শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার ১৪তম ৫ উইকেট শিকার।
জবাব দিতে নেমে ৫০ বলে লিটন পূর্ণ করেন ফিফটি। আর পরের ৫০ রান করেন ৪০ বলে। নিজের ৫০তম প্রথম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এটি লিটনের ১২তম সেঞ্চুরি। এ নিয়ে বিসিএলে  সেঞ্চুরি করলেন তিনটি। তৃতীয় উইকেটে তাসামুলের সঙ্গে লিটন গড়েন ১৪৮ রানের জুটি। ৬৭ রান করা তাসামুলকে ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফেরান শুভাগত হোম। লিটন ৬৩ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেনকে নিয়ে। আফিফ ৩১ বলে ৩১ ও ২৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল (দ্বিতীয় দিন)
টস: দক্ষিণাঞ্চল (ফিল্ডিং)
উত্তরাঞ্চল: ১৮৭ ও ৩২/০ (মিজানুর ১৭*, জুনায়েদ ১৪*)
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১০৫ ওভারে ৩৬৫/৮ ডি. (এনামুল ৮৯, ইমরুল ১০৭, তুষার ৬৫, মিঠুন ৪৯, রেজা ৫/৫৭)
মধ্যাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল (দ্বিতীয় দিন)
টস: মধ্যাঞ্চল (ব্যাটিং)
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১২৫.৩ ওভারে ৫৪৬ (মজিদ ২০৫, শুভাগত ৭১, শরিফ ৪১, আবু জায়েদ ২/৫১, সাইফুদ্দিন ২/৭৭, সোহাগ ৫/১৮৮)।
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪৬ ওভারে ২৬৪/৩ ব্যাটিং (লিটন ১৩৯*, তাসামুল ৬৭, আফিফ ৩১*; মোশাররফ ১/৫৫, শুভাগত ২/৮২)।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর