× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঘরের মাঠে হোঁচট খেলো আবাহনী

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার

আইজল এএফসির সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন গোলে জিতলেও ঘরের মাঠে হোঁচট খেয়েছে ঢাকা আবাহনী। এগিয়ে থেকেও তারা ম্যাচটি ড্র করেছে ১-১ গোলে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এমেকার গোলে লিড পায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত আইজলের কৌশলের সামনে আর পেরে উঠেনি আকাশী-নীল শিবির। এ ড্র’য়ের ফলে ৪ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ৪। সমান ম্যাচে ভারতীয় ক্লাব আইজলের পয়েন্ট ১। এএফসি কাপে আবাহনীর পরের ম্যাচ ২রা মে মালদ্বীপে নিউ রেডিয়েন্টের বিরুদ্ধে। আর ১৬ মে ঢাকায় ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এফসির বিরদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের ক্লাবটি।
আগের দিন গুয়াহাটির ম্যাচটিকে অতীত বলেছিলেন আইজল এফসির কোচ সন্তোষ কাসিয়াপ।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বারবার ভারতীয় ক্লাবটির কোচ বলছিলেন, তরুণ ব্রিগেডের উপর আস্থা আছে তার। এএফসি কাপে ঢাকা থেকেই তারা ঘুরে দাঁড়াতে চান। কথা আর কাজের মিলনটা দারুণভাবেই ঘটিয়েছেন আইজলের কোচ। ঘরের মাঠে তারা আবাহনীর কাছে হেরেছিল ৩-০ গোলে, আর ঢাকায় এসে সেই আবাহনীকেই রুখে দিয়েছে। গত ১১ই এপ্রিল গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামের প্রথমার্ধে ৩ গোলে পিছিয়ে পড়া আইজল দুর্দান্ত খেলেছিল দ্বিতীয়ার্ধে; কিন্তু ম্যাচে তারা ফিরতে পারেনি। ঢাকায় মুখোমুখি হওয়ার আগে আবাহনীর প্রেরণা ছিল আগের ম্যাচে প্রথমার্ধে করা ৩ গোল আর আইজলের প্রেরণা ছিল ওই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আইজলই পেরেছে অনুপ্রেরণা কাজে লাগাতে। পিছিয়ে পড়েও এক পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরছে তারা। এএফসি কাপে ঢাকাই তাদের উপহার দিলো প্রথম পয়েন্ট। ৩১ মিনিটে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। নাইজেরিয়ান এমেকা বক্সে বল পেয়ে সামনে এগুলে তাকে টেনে ফেলে দেন আইজলের ডিফেন্ডার লালরাম। ফিলিস্তিনের রেফারি আবু বারা কামাল পেনাল্টির বাঁশি বাজালে এমেকা গোল করেন। ৬৫ মিনিটে সমতা আনে অতিথি দলটি। আন্দ্রে গোল লাইনের কাছাকাছি থেকে বুক দিয়ে বল থামিয়ে পাঠিয়ে দেন জালে।
ড্র করতে পারায় খুশি আইজল এফসির কোচ সান্তোষ কাসিয়াপ। তার মতে, ‘ভালো একটি ম্যাচ হয়েছে। অ্যাটাকিংও। ম্যাচের স্কোর আরো বড় হতে পারতো। তবে আমাদের বিপক্ষে দেয়া পেনাল্টিটা সন্দেহজনক ছিল। অ্যাওয়ে ম্যাচে আমরা এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছি এটাই বড় কথা। আবাহনীও সুযোগ তৈরী করেছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ফিফটি ফিফটি হয়েছে।’ তবে ড্র করায় হতাশ হয়েছেন আবাহনীর কোচ সাইফুল বারী টিটু। ‘আমি হতাশ। তবে ড্রয়ের দায় দায়িত্ব আমার কাঁধেই নিচ্ছি। আজ ফিটনেস লেবেল ভালো ছিল না। ২-০ তে এগিয়ে থাকলে ম্যাচ জয়ে সহজ হতো। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে তা মানতেই হবে। অ্যাটাক মুভমেন্টও ভালো ছিল তাদের। আমাদেরও ভালো সুযোগ ছিল তিন পয়েন্ট তুলে নেয়ার। কিন্তু আমরা পারিনি।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর