× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাহুবলে তরুণীকে গণধর্ষণের পর সিগারেটের ছ্যাঁকা

প্রথম পাতা

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার

বাহুবলে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের এক তরুণী। ধর্ষকরা শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি ওই তরুণীর শরীরে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের   সহায়তায় ধর্ষিতা হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে ২৪শে এপ্রিল রাতে বাহুবল মডেল থানায় ৪ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পুলিশ উপজেলা পরিষদের এমএলএসএস শাহ আলমসহ ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। অপর ২ যুবক পলাতক রয়েছে। গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ২৩শে এপ্রিল রাত সোয়া ১টার দিকে উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামে।
ধর্ষিতার উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার দিঘিবরাবর গ্রামের জনৈক তরুণী  তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ৫ বছর ধরে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছে। ৪ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়।  সে সুবাদে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের এমরান মিয়ার স্ত্রী লিপি খানমের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়।
সপ্তাহখানেক আগে ওই তরুণীকে বাহুবল বেড়াতে আসার দাওয়াত দেয় লিপি। গত ২৩শে এপ্রিল বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে নামেন ওই তরুণী। মিরপুর বাজারে পূর্ব থেকেই অবস্থান করছিল বান্ধবী লিপি খানম। দুজন হয়ে মিরপুর বাজারে কিছু বাজার-সওদা সেরে বাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরবর্তী পূর্বজয়পুর গ্রামে তারা যাত্রা করেন। লিপি খানমের বাড়িতে পৌঁছে লিপির স্বামী এমরান মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র ছায়েদ আলী (৪৫) ও মো. তৈয়ব খানের পুত্র বাহুবল উপজেলা পরিষদের এমএলএসএস মো. আলম খান (২৫)-এর সঙ্গে দেখা ও কথাবার্তা হয় ওই তরুণীর। খাওয়া-দাওয়া শেষে লিপি খানমের একটি কক্ষে ওই নারী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত অনুমান সোয়া ১টার দিকে এমরান মিয়া, ছায়েদ আলী, আলম খান ও এক অজ্ঞাত যুবক ঘুমন্ত ওই তরুণীর কক্ষে প্রবেশ করে। এ সময় তারা তাকে জাপটে ধরে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ছায়েদ আলী জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে ধর্ষিতার পেটের নিম্নাংশে ছ্যাঁকা দেয় এবং অন্যরা তার মুখমণ্ডল ও গলায় জখম করে। এতে ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে। সেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর ২৪শে এপ্রিল রাতে ধর্ষিতা বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি ছায়েদ আলী ও মো. আলম খানকে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পলাতক রয়েছে।
গতকাল অপরাহ্ণে বাহুবল মডেল থানা কম্পাউন্ডে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং-এ বাহুবল সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, গণধর্ষণের বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের ‘কুইক রেসপন্স’ টিম মাঠে নামাই এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর