× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আওয়ামী লীগ ততদিন ক্ষমতায় থাকবে

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত ও কর্মক্ষম আছেন ততদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। বাংলাদেশের কোনো অপশক্তির ক্ষমতা নেই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করার। গতকাল রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, তার মতো ব্যক্তিও নির্লজ্জ মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি বললেন, তারেক জিয়া জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। তারেক জিয়ার জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের করাচিতে। জন্মসূত্রে যদি নাগরিকত্ব হয় তাহলে তারেক জিয়া পাকিস্তানের নাগরিক। বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।


মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে মিথ্যাচার করে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ আনছেন এজন্য তার প্রতি জাতির ধিক্কার ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

হানিফ বলেন, বিএনপি এখন মিডিয়ার কল্যাণে বেঁচে আছে। জনগণের কাছে যাওয়ার আর কোনো মুখ ও সাংগঠনিক শক্তি নেই। প্রতিদিন তারা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছেন। বিএনপির এই করুণ দশার কারণ তাদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এই বাংলাদেশে অন্যায় করে কারও পার পাওয়ার সুযোগ নেই। এই বাংলাদেশে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা শুধু নয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি-জামায়াত তাণ্ডব চালিয়ে মানুষকে হত্যা করেছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য সারা দেশে তাণ্ডব চালিয়ে ৪৭জন মানুষকে হত্যা করেছিল।

২০১৫ সালে তথাকথিত অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। এই সকল হত্যার দায়ভার বিএনপি নেতৃবৃন্দকে নিতে হবে। তাদের এসমস্ত হত্যার জন্য কাঠগড়ার দাঁড়াতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এই বিচার থেকে কারও রেহায় পাওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের জনগণ সেই বিচার দেখার অপেক্ষায় আছে। সরকার কোনো চাপে নেই দাবি করে হানিফ বলেন, সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে, আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসবে। এই বাংলাদেশের জনগণ বেগম জিয়া ও তার দুর্নীতিবাজ পুত্রের নেতৃত্বে হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি দেখতে চায় না। তাই ২০১৮ সাল নয়। ২০২৪ সালে নয়।

২০২৯ সালের পরে তাদের ক্ষমতায় আসার জন্য ভাবতে হবে। ছাত্রলীগের নেতাদের উদ্দেশে হানিফ বলেন, যে আদর্শ নিয়ে যে চেতনা নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যে আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন দিয়েছেন। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে আমাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ, আমাদের প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্তরে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শক্তিরা বসে আছে। এ কারণে ছাত্রলীগ নেতকার্মীদের রাজনীতির পাশাপাশি মেধা পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস’সহ সকল প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে যোগদানের আহ্বান জানান হানিফ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম সারোয়ার কবির, মামুনুর রশিদ শুভ্র, মিরাজ হোসেন প্রমুখ। প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন। সম্মেলন পরিচালনা করেন মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর