রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বেরাইদে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কামরুজ্জামান ওরফে দুখু নিহত হওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার এজাহারে কয়েকজন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তাদেরসহ সংঘর্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী এবং উসকানিদাতাদের ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। রোববার বিকালে বাড্ডার বেরাইদে বালু নদীর তীরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অজ্ঞাতনামাদের গুলিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আলমের চাচাতো ভাই কামরুজ্জামান ওরফে দুখু নিহত হন। আহত হন আরো ৭ জন।
সূত্র জানায়, সোমবার রাতে নিহতের চাচাতো ভাই বেরাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোহা. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় এমপি একেএম রহমতউল্লাহ’র দুই ভাগ্নে ফারুক আহমেদ ওরফে ভাগ্নে ফারুক ও আইয়ুব আনসার মিন্টুসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বালু নদের পাড়ে একটি সিমেন্ট কোম্পানির রেডিমিক্স ফ্যাক্টরিতে কাঁচামাল সরবরাহ করতেন কামরুজ্জামান দুখু। চলতি মাসের শুরুতে ভাগ্নে ফারুকের সহযোগীরা কামরুজ্জামানের কাঁচামাল সরবরাহের কাজ বন্ধ করে দেয়। ভাগ্নে ফারুকের চাচাত ভাই মারুফ কাঁচামাল দেয়া শুরু করে ওই ফ্যাক্টরিতে। রোববার দুপুরে ভাতিজা আল হাকিম ও ভাগ্নে সানিকে নিয়ে কামরুজ্জামান ওই ফ্যাক্টরিতে বকেয়া বিল জমা দিতে যান। সেসময় ফারুক ও আইয়ুবের সহযোগীরা তাদের মারধর করে। পরে কামরুজ্জামান বাড়িতে ফিরে স্বজনদের জানান। বিকালে কামরুজ্জামানসহ ১০-১২ জন ফের বালু নদের দিকে যাচ্ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা শটগান ও পিস্তল নিয়ে সজ্জিত হয়ে বেরাইদের এক শ’ ফিট রোডের কাছে ৩০ ফুট এলাকায় পৌঁছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। এতে কামরুজ্জামান নিহত ও আহত হন ১০ জন। বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মানবজমিনকে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলাটি মাঠপর্যায়ে তদন্ত করছে পুলিশ। মামলার আসামিদের ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।