ফ্রান্সে ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এক সন্ত্রাসী। এ সময় আহত হয়েছে চারজন। প্যারিসের কাছে অপেরা গারনিয়েরে এ ঘটনা ঘটে। এর পরপরই পুলিশ হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। তারা বলেছে, হামলাকারী তাদের যোদ্ধা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সন্ত্রাস বিরোধী কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন জঙ্গিদের কাছে কোনোভাবেই মাথানত না করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্সে বেশ কিছু ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। হামলার পর ঘটনাস্থলের কাছে রাইট ব্যাংকের কিছু ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ওই হামলা হয়। ঘটনাস্থল পুলিশ ঘেরাও করে রাখার পরও আশপাশের ক্যাফেগুলোতে তখনও মানুষজন ছিল। শহরের রাতের জীবনচিত্র ছিল স্বাভাবিক। অজ্ঞাত হামলাকারী ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনকে টার্গেট করে তাদের ওপর হামলা চালায় এবং পালিয়ে যায়। এতে নিহত হন ২৯ বছর বয়সী এক যুবক। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় হামলাকারীকে তারা খুঁজে পায়। তবে হামলাকারী পুলিশকে উল্টো হুমকি দিতে থাকে। তবে পুলিশের এক কর্মকর্তার মতে, এ সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এখন তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। জানার চেষ্টা করছে তাকে কেউ সহায়তা করেছে কিনা। রোববার সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার্ড কলোম্ব। এ নিয়ে তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রসিকিউটর ফ্রাসোয়াঁ মোলিনস। তিনি ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলাকারী ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালায়। রোববার দিনের শুরুতে এক বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করে নেয় ইসলামিক স্টেটের বার্তা সংস্থা আমাক। তাতে বলা হয়, ইরাক ও সিরিয়ায় তাদেরকে সংকুচিত করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তাই ইসলামিক স্টেট আহ্বান জানিয়েছে এসব দেশের সদস্যদের টার্গেট করতে। তবে প্যারিসে শনিবার যে হামলা চালিয়েছে তার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেয় নি আমাক।