× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রমিক সঙ্কটে বরেন্দ্র অঞ্চলের চাষিরা

অনলাইন

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পতœীতলা (নওগাঁ) থেকে
(৫ বছর আগে) মে ১৩, ২০১৮, রবিবার, ১২:১৯ অপরাহ্ন

শস্যভাণ্ডার খ্যাত বরেন্দ্র অঞ্চলে বোরো মৌসুমে পাকা ধান কাটার কৃষি শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বিপাকে পড়েছেন বোরো চাষীরা। এলাকাটিতে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ হওয়ায় ধান কাটার এ শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলের পত্নীতলা, মহাদেবপুর, ধামুইরহাট, সাপাহার, পোরশাসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে বিঘার পর বিঘা জমির পাকা ধান শ্রমিকের অভাবে ঘরে তুলতে পারছেন না চাষীরা। স্থানীয় ধান চাষীদের মতে, এসব এলাকার প্রায় ৭০ ভাগ ধান এখনও জমিতেই রয়েছে। ধান কাটা মাড়াই কাজের জন্য নিয়োজিত স্থানীয় শ্রমিকরা অনেকেই কৃষি কাজ বাদ দিয়ে চার্জার ভ্যান, ভটভটি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এ কারণে দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও ধান কাটার শ্রমিক মিলছে না। এ এলাকার স্থানীয় ধান চাষীরা জানান, ধান কাটার শ্রমিক সঙ্কটের কারণে অনেক বেশি দামে শ্রমিক ক্রয় করতে হচ্ছে। পত্নীতলা উপজেলার শাশইল গ্রামের চাষী বকুল, বুলবুল, রমজান, শাহাজাহান, জুয়েল, ইদ্রিস, হাবিবুরসহ অনেকেই জানান, বিঘা প্রতি মাঠের ধানকাটা, পরিবহন, মাড়াই করতে চুক্তিতে ৮/৯ মণ ধান দিয়েও শ্রমিক মিলছে না। বিগত মৌসুমে বাহিরের জেলার আগত শ্রমিকরা আসতেন প্রচুর।
কিন্তু, চলতি মৌসুমে ধানকাটার শুরু থেকেই আগত চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিক সঙ্কটে ভুগছেন চাষিরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পতœীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, এক সঙ্গে ধান কাটার সময় হওয়ায় শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বোরো আবাদে ধানকাটার সময় আবহাওয়া জনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আশঙ্কায় চাষীরা দুঃচিন্তায় থাকেন সাধারণত। তবে, কয়েক দিনের মধ্যেই শ্রমিক সঙ্কট কেটে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর