নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বাঁধলেন। সেই দড়ি নিজের গলায় নিয়ে ঝুলে পড়ে আত্মহত্যা করলেন এক স্বামী সালাউদ্দিন (২০)। আর স্বামীর ফাঁসির এই দৃশ্য বসে বসে দেখলেন স্ত্রী রুনা আক্তার রুনু (১৮)।
এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানার কলসিদীঘির পাড়ে হাশেম ড্রাইভারের ভাড়া বাসায়। খবর পেয়ে শনিবার দিবাগত রাতে ইপিজেড থানা পুলিশ স্বামী সালাউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। সঙ্গে স্ত্রী রুনা আক্তার রুনুকে আটক করে।
তবে ইপিজেড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব বলেন, স্ত্রী রুনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর স্বামী সালাউদ্দিনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী রুনা আক্তার রুনু জানান, মাত্র তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। ভাড়া বাসায় থেকে সংসারে অভাব-অনটনের কারণে তাদের মাঝে অশান্তি দেখা দেয়।
এরই জের ধরে ঝগড়ার পর গলায় ফাঁস দিয়ে স্ত্রীর সামনেই আত্মহত্যা করেন সালাউদ্দিন।
এতে বাঁধা না দেয়ার কারণ সম্পর্কে রুনু বলেন, আমি বুঝতেই পারিনি সে সত্যিই আত্মহত্যা করবে। মনে করেছিলাম সে আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমিও দেমাগ দেখিয়ে বাঁধা দেয়নি।
এসআই রাজীব জানান, নিহত সালাউদ্দিন ভোলা সদর থানার বারু বাইল্লা গ্রামের কাজল হাওলাদারের ছেলে। আর রুনা আক্তার ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ভালোবেসে তিন মাস আগে তারা বিয়ে করেন। ইপিজেড থানার কলসি দীঘির পাড়ে হাশেম ড্রাইভারের বাসায় ভাড়া নেন।
স্থানীয়রা জানান, বাসা নেয়ার সপ্তাহ না যেতেই তাদের সংসারে শুরু হয় দা¤পত্য কলহ। বিগত তিন মাস তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় সালাউদ্দিন বাসায় আসতেই শুরু হয় ঝগড়া। আর এতে অভিমান করে স্ত্রীর সামনেই গলায় ফাঁস নেন তিনি।