× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইফতারি পণ্য নেওয়ার সময় পিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১

অনলাইন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) মে ১৪, ২০১৮, সোমবার, ১:৩৮ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় কেএসআরএম শিল্প গ্রুপের বিতরণ করা ইফতারি পণ্যসামগ্রী নিতে গিয়ে চাপে পড়ে পদদলিত হয়ে ১১ জন নারীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নে কেএসআরএম এর মালিক শাহজাহানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ নিহত ৯ নারীর লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। বাকী ২ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে তিন নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন-লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ২নং ওয়ার্ডের আবদুস সালামের মেয়ে টুনটুনি বেগম (১৫), সাতকানিয়ার খাগরিয়ার মো. ইসলামের স্ত্রী হাছিনা আক্তার (৩৮) ও বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়েনর কাইচতলীর ইব্রাহিমের স্ত্রী নূর আয়েশা (৩০)।
নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তার ১১ নারী ভীড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে নিহতের কথা নিশ্চিত করলেও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেছেন, দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হিটস্ট্রোকে এসব নারীর মৃত্যু হয়েছে।
 
তিনি বলেন, নিহতদের বেশিরভাগেরই বয়স ৫০ বছরের বেশি। তবে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কয়েকজনকেও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা।   
তিনি জানান, আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নে কেএসআরএম শিল্পগ্রুপ এর মালিক মো. শাহজাহান প্রতিবছরের ন্যায় আজও সকালে দুঃস্থদের মাঝে ইফতারের পণ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করেন। এ সময় একটু ভীড় জমে। লাইনে দাড়াতে গিয়ে হুড়োহুড়ি-চাপাচাপিও হয়। হুড়োহুড়িতে পিষ্ট হয়ে ১১ নারীর মৃত্যু ঘটে।
নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তার জানান, ইফতার নিতে আসা মানুষের চাপে পদদলিত হয়ে ওই ১১ নারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সালেও এখানে ইফতার নিতে গিয়ে ৬ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছিল। সম্পূর্ণ অনিরাপদ ও অব্যবস্থাপনার কারনে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।  
কেএসআরএমের কর্মকর্তা মো. রফিক বলেন, আমাদের কো¤পানির পক্ষ থেকে সকালে দুঃস্থ-গরিবদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছিল। সে সময় ভিড়ের মধ্যে পড়ে ঘটনাস্থলে ৯ নারী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে আরও ২ নারী মৃত্যু ঘটে। তবে অনিরাপদ ও অব্যবস্থাপনার কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা তিনি অস্বীকার করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃত ১১ নারীর লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের ৯ জনের মতো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর