সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক জাভেদ মিয়াকে জবাই করে খুন করে আত্মসমর্পন করেছে স্বামী রহমত আলী। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার বাঘবেড় বাজারের কাছে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জাভেদ মিয়া উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের আক্তাপাড়া গ্রামের শওকত আলী ছেলে। হত্যাকারী রহমত আলী একই ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামের মৃত আকতার মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও হত্যাকারী রহমত আলী জানায়, রহমত আলীর স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জাভেদ মিয়ার পরকীয়া প্রেম ছিল। মোবাইল ফোনের কল লিস্ট দেখে রহমত আলী প্রেমের বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি জানার পর রহমত আলী তার স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেম বন্ধ করার কথা বললেও গত রোববার রাতে জাভেদ আলীকে তার ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখে রহমত। এ সময় তার স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
আজ রহমত সুনামগঞ্জ শহর থেকে একটি ধারালো চাকু কিনে নিয়ে যায়। বিকেলে বাঘবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে হেঁেট যেতে দেখে পিছন দিক থেকে রড দিয়ে আঘাত করে রহমত। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে জাভেদ। পরে জবাই করে তাকে খুন করে।
খুনের পর রহমত স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে আত্মসমর্পনের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের খোঁজ করে। তাদেরকে না পেয়ে বাঘবেড় বাজারে গিয়ে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানালে বিশ্বম্ভরপুর থানায় বিষয়টি জানান বাজারের উপস্থিত লোকজন। পরে পুলিশ বাঘবেড় বাজারে গিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে আসে।
ইউপি চেয়ারম্যান রওশন আলী বলেন, রহমত আলী আমাদের খোঁজে ইউনিয়ন অফিসে গিয়েছিল। তখন আমরা অফিসে ছিলাম না। পরে স্থানীয় লোকজন জানায় সে খুন করে আত্মসমর্পন করার জন্য অফিসে গিয়েছিল।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লোকজন খবর দিলে হত্যাকারীকে বাঘবেড় বাজার থেকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানা এনে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।