খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৪৬টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট। আর তার নিকটতম বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৮হাজার ৯৫৬ ভোট। দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৬৭ হাজার ৯৪৬। নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের অপর তিন কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। মোট ১৫৬১টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবারের খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন এবং নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
শতাধিক কেন্দ্রে আবার ভোট চান মঞ্জু:
নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ এনে একশরও বেশি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভোট নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সন্ধ্যায় খুলনায় দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি করেন ধানের শীষের প্রার্থী। মঞ্জু যখন এই সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন, তখন ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করে।
আর প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের চেয়ে পিছিয়ে থাকেন মঞ্জু। যত সময় যেতে থাকে, ততই বাড়ছে ব্যবধান।’ মঞ্জু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ফলাফল আসছে এটা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না। খ্লুনাবাসী ভোট প্রয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগ ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির কাছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। বিএনপি অভিযোগ করেছে অন্তত ৪০টি কেন্দ্র দখল করে নৌকার পক্ষে ভোট দেয়া হয়েছে। দখল ও জাল ভোট দেয়ার কারণে তিনটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। দিনভর কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ এলেও নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে।