সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হামলায় নুরুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। সে উপজেলার ছাতার গ্রামের ছয়ফুল ইসলামের পুত্র। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার লাবু গোচরণ ভূমিতে লাবু-নিজধর গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলার এক পর্যায়ে উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে বিষয়টি উভয় দলের খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় নিজধর গ্রামের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। নিজধর গ্রাম ও লাবু গ্রামের খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষকে সংঘর্ষে না জড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অনুরোধ করেছিলেন নিহত নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এতে নুরুল ইসলামের ওপর ক্ষিপ্ত হন লাবু ও মেধিহাওর গ্রামের কিছু যুবক। পরবর্তীতে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় পরগনা বাজারের পশ্চিমে
টিয়ার খালের বাসের সাঁকো পার হওয়ার সময় নুরুল ইসলামের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এতে নুরুল ইসলাম গুরুতর আহত হলে তার আর্তচিৎকারে শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী এসে আহত অবস্থায় উদ্বার করেন নুরুল ইসলামকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে সিওমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতদের নাম জানা যায়নি। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেলওয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, নিহত নুরুল ইসলামের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার খবর পেয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই পীযূষ ও সঙ্গীয় ফোর্সদের ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেছি। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে ৬ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়াও নিহত নুরুল ইসলামের খুনের ঘটনায় তার মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজনসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত নুরুল ইসলামের লাশ সিওমেক মর্গে রয়েছে এবং নুরুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার।