× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শান্তিনিকেতনে দুই প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মমতা থাকছেন না

শেষের পাতা

কলকাতা প্রতিনিধি
১৭ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার

পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত উপস্থিত থাকবেন না। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে মৌখিকভাবে এ কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাকে উপস্থিত থাকার যে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন তাদের এখন পর্যন্ত মমতার অনুপস্থিতির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। সাধারণভাবে কোনো রাজ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেশের ও বিদেশের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্যবশত সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী কেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না সে ব্যাপারে অবশ্য নবান্নের কর্তারা মুখ খুলতে রাজি হননি। আগামী ২৫শে মে বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এদিনই উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ ভবনেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হবে। সেই সময় দুজনের মধ্যে একান্তে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে ভাষণও দেবেন। এই সমাবর্তনে আচার্য্য হিসেবে উপস্থিত থাকছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরের দিন প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে অন্ডালে নজরুল বিমানবন্দরে নেমে আসানসোলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি গ্রহণ করবেন। এদিন সন্ধ্যাতেই তিনি কলকাতা হয়ে ঢাকায় ফিরে যাবেন। তবে কলকাতায় আসা-যাওয়ার পথে মমতার সঙ্গে শেখ হাসিনার দেখা হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিতভাবে কেউ কিছু জানান নি। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন তা এড়িয়ে যাওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য। মমতা এখনো তিস্তায় দেয়ার মতো পর্যাপ্ত পানি নেই অবস্থানেই অনড় রয়েছেন। তবে ভারত সরকার পানি ভাগাভাগি আপাতত উহ্য রেখে একটা মান বাঁচানোর চুক্তি করতে চাইছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি আগেই বলেছিলেন তাদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই এই চুক্তি করার চেষ্টা করা হবে। আর এজন্যই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় মমতাকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কথা ভেবেছিল। কিন্তু মমতা উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত জানার পর তারা অনেকটাই হতাশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর