বান্ধবীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষাথীর পেটে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী হামজা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। এর আগে গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি মাস্টার্সের অপর এক শিক্ষার্থীকেও মারধর করেন। আহত শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সম্প্রতি মাস্টার্স শেষ করেছেন।
আহতের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৫ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনে হৃদয় ও তার বান্ধবী বসেছিলো। এ সময় হামজাসহ কয়েকজন এসে তাদেরকে উত্যক্ত করে। হৃদয় এর প্রতিবাদ করলে তারা চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই হৃদয় তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পেছনে গেলে একা পেয়ে হামজাসহ কয়েকজন তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আশেপাশের লোকজন হামজাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় হামজার সঙ্গে থাকা দুজন পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হামজা বলেন, ‘আমি কাউকে ছুরিকাঘাত করিনি। আমার সঙ্গে আরও দুজন ছিলো। তারা ছুরি মেরেছে।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে সহ-সভাপতি সাদ্দাম ধমক দিয়ে হামজাকে চুপ থাকতে বলেন এবং পরিচয় জানাতে বাধা দেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ছুরিকাঘাতের ঘটনা শুনেই আমি আহত শিক্ষার্থীকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আর অভিযুক্তকে পুলিশে দেয়া হয়েছে। মতিহার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি। তাকে থানায় রাখা হয়েছে।’