× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন কাল /শান্তিনিকেতনে দুই প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন এক ঘন্টা

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) মে ২৪, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:০৪ পূর্বাহ্ন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল শুক্রবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করবেন। এরপর তারা বিশ্বভারতীর সমাবর্তনেও অংশ নেবেন। তবে দুই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ব্যস্ততার ফাঁকে দুপুরে এক ঘন্টার জন্য অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন বলে নানা সূত্রে জানা গিয়েছে। আগে ঠিক ছিল যে, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী ৪০ মিনিটের জন্য বৈঠক করবেন। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শে বৈঠকের সময়সীমা বাড়িয়ে বৈঠকের সময়সীমা এক ঘন্টা করা হয়েছে। জানা গেছে, এই বৈঠক হবে দুই প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো মন্ত্রী বা আমলা উপস্থিত থাকবেন না। হাসিনা ও মোদীর মধ্যকার আলোচনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।
বাংলাদেশ ও ভারতে আগামী এক বছরের মধ্যে নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়বে । এই অবস্থায় উভয়ে সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রোহিঙ্গা সমস্যার পাশাপাশি আঞ্চলিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে।  কানেকটিভিটি, বিদ্যুৎ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রশ্নে আলোচনার সম্ভাবনা রযেছে বলে সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে। ভারতকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরো ত্রাণের অনুরোধ জানাতে পারে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত চীন নিয়ে বাংলাদেশের মনোভাব জানার চেষ্টা করতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তবে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠলে মমতার উপস্থিতি জরুরি হয়ে উঠবে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নেবার সম্ভাবনার কথা অনেকে মনে করছেন। আর মমতাও তার মতামত জানানোর জন্য তৈরি হয়েই শেষপর্যন্ত আজ সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীতে পৌঁছেছেন। তবে মমতা তিস্তার পানি নিয়ে তার অনড় অবস্থানে থাকা সত্ত্বে¡ও বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে জানা গিয়েছিল, মমতা বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে যাবেন না বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে জানিয়েছিলেন। পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অনুরোধের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধও গিয়ে পৌঁছায় মমতার কাছে। এরপরেই তিনি বিশ্বভারতীতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আগামী ২৬শে মে কাজী নজরুল বিশ্ব বিদ্যালয়ে হাসিনাকে ডিলিট দেয়ার অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন না বলে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরকার সমস্যার কারণেই মমতা সেখানে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এক মঞ্চে হাজির থাকবেন নরেন্দ্র মোদী, শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনেও তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ নিয়ে চর্চা ও গবেষণার জন্য রিসোর্স সেন্টার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। এই ভবনে রয়েছে একটি মিউজিয়াম, একটি লাইব্রেরি, একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, একটি সেমিনার হল, ফ্যাকাল্টি কক্ষ, স্টাডি রুম ও একটি ক্যাফেটেরিয়া। আগামীতে দিনে এই বাংলাদেশ ভবন শান্তিনিকেতনে অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থান হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের সরকারি কর্তাব্যাক্তিরা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুদিনের সফরে শুক্রবার সকালে দমদমের নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নেমে ভারতীয় বায়ু সেনার হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতনে যাবেন। সেখানে হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বদ্যোপাধ্যায় ও বিশ্বভারতী র  উপাচার্য সবুজ কলি সেন। মোদী অবশ্য ঝাড়খ-ের একটি সভা শেষ করে হেলিকপ্টারে শান্তিনিকেতনে আসবেন বলে জানা গেছে। হাসিনা উত্তরায়নে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপরে যাবেন আ¤্রকুঞ্জের সমাবর্তনে। অবশ্য এবার বিশ্বভারতীর নানা প্রথাকে কাটছাঁট করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পরামর্শে। বেদগান পরিবেশন এবার বাদ রাখা হযেছে। সমাবর্তনে মোদী আচার্যের ভাষণ দেবেন। হাসিনাও বক্তব্য রাখবেন। এর আগে হাসিনা বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন দেশিকোত্তম উপাধি নিতে। বিশ্বভারতীতে এটি তার দ্বিতীয়  সফর। হাসিনাকে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে চার খন্ডের রবীন্দ্র চিত্রাবলী। এছাড়া দেওয়া হবে এনামেল পেন্টিং ও রবীন্দ্র গানের সিডি। সমাবর্তন থেকে মোদী ও হাসিনা বিশ্রামের জন্য যেতে পারেন উদয়নে। সেজন্য উদয়ন গৃহটিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। এরপর বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন। উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে পরিবেশন করবেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা একটি গান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পরেই হবে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকটি। বৈঠক শেষে হাসিনা হেলিকপ্টারেই ফিরে আসবেন কলকাতায়। যাবেন জোড়াসাঁকে ঠাকুরবাড়িতে কিংবা নেতাজি ভবনে। সন্দ্যায় তাজ বেঙ্গল হোটেলে ইফতারের আযোজন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক। পরেরদিন সকালে বাংলাদেশের বিমানে হাসিনা যাবেন অন্ডালে। সেখান থেকে সড়ক পথে আসানসোলের কাছে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্রালয়ের সমাবতৃনে যোগ দিতে। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্রালয়র থেকে ডিলিট সম্মান গ্রহণ করে তিনি ফিরে যাবেন কলকাতায়। সেই রাতেই তিনি ফিরে আসবেন ঢাকায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর