খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অনিয়মে স্থগিত থাকা তিন ভোটকেন্দ্র নিয়ে তিনদিন ধরে শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। এর প্রতিবেদন আগামী ২৭শে মে এর মধ্যে জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তদন্ত কমিটির প্রধান ইসির যুগ্ম-সচিব খোন্দকার মিজানুর রহমান। তবে, তদন্তের স্বার্থে আরো দুই একদিন বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন। গতকাল সকালে রিটার্নিং অফিসারের সভাকক্ষে শুনানি চলাকালে তিনি এ কথা জানান। তদন্ত কমিটির তিন সদস্য হলেন ইসির যুগ্ম-সচিব খোন্দকার মিজানুর রহমান, উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন ও সিনিয়র সহকারী সচিব শাহ আলম। তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, ‘স্থগিত হয়ে যাওয়া ওই তিন কেন্দ্রের ভোট সংশ্লিষ্ট যারা ছিল সবাইকে নিয়ে তিনদিন ধরে ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের কথা শুনেছি। নির্বাচনের দিন ওই তিন কেন্দ্রের পুরো পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেছি। কারও মুখে আবার কারো লিখিত নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রশ্ন করেছি, তারা উত্তর দিচ্ছে।’ ‘আমরা স্থগিত হয়ে যাওয়া কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে যাবতীয় খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে এখান থেকে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দেবো না। যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ শেষে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে গিয়ে জমা দেবো। আগামী ২৭শে মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে আরো দু-একদিন লাগতে পারে। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুলনায় কয়েকটি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে শুনেছি। পত্রিকায় দেখেছি। এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কথা শুনেছি। তিনি বলেন, অস্বাভাবিক ভোট পড়ার বিষয়ে যদি কোনো অভিযোগ প্রার্থীর থেকে থাকে তাহলে রিটার্নিং অফিসার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দিতে পারবেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, ‘তিনটি ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা, ওই ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ২৪ ও ৩১নং ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ৩০শে মে ওই তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ হবে। ৩০শে মে’র নির্বাচনে সংরক্ষিত দু’টি ওয়ার্ড এবং একটি সাধারণ ওয়ার্ডের সকল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবেন বলেও রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন।