× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে কসবার ৬৮ বিদ্যালয়

বাংলারজমিন

মো. সজল আহাম্মদ খান, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে
২৬ মে ২০১৮, শনিবার

 কসবা উপজেলার ১৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৮টি বিদ্যালয়ে কোনো প্রধান শিক্ষক নেই। ফলে সহকারী শিক্ষক দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এদের মধ্যে পুরাতন ৮৭টি বিদ্যালয় এবং নতুন জাতীয়করণ করা হয়েছে ৭৬টি রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে। বিদ্যালয়সমূহ হচ্ছে- গোপীনাথপুর ইউনিয়ননের ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েমপুর ইউনিয়নের মইনপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মইনপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝিকড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বায়েক ইউনিয়নের অষ্টজঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গৌরাঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেহারী ইউনিয়নের খেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নতুনভাবে বে-সরকারি থেকে জাতীয়করণ করা ৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- মূলগ্রাম ইউনিয়নের পুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিবড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেহারী ইউনিয়নের ঈশাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডা. বিএম এলাহি বক্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেওড়া পুর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাদৈর ইউনিয়নের বাদৈর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাড়েরা ইউনিয়নের মনকাশাইর খিদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধামসার-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়ুইয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনলাখপীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বড়মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামনগর কাজিয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাথারিয়াদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াগাঁও-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর রহমত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোসাইস্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাতানবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতুয়ামুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের কোল্লাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালিয়ারা মীরপুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকছিনা পুর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ শাহ্‌পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুটি ইউনিয়নের রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েমপুর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর চকবস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামালপুর হাজী মুকবুল হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েমপুর পশ্চিম জাহেরা কবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বায়েক ইউনিয়নের গোপীনগর বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজভল্লবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাদলা বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোনাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কসবা পৌরসভার- গুরিয়ারূপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগৎপুর হায়দার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াপাড়া মীরপুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  তিলারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাপুর ইদ্রিছ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহ্‌পুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিং শাহ্‌পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মূলগ্রাম ইউনিয়নের-ডাবিরঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাড়েরা ইউনিয়নের গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কুইয়াপানিয়া ফজলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুটি ইউনিয়নের দক্ষিণখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কসবা পৌর শহরের তারাপুর ইদ্রিছ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
সহকারী শিক্ষক শিউলী বেগম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়টিতে ২২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচটি পদ রয়েছে। বর্তমানে চার জন শিক্ষক রয়েছেন।
জিকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাখাওয়াত হোসেন পাঠান বলেন, ১৯৬৯ সনে প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ ছয়টি পদ থাকলেও সেখানে প্রধান শিক্ষক এবং একজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
কসবা উপজেলা শিক্ষক কর্মকর্তা মো. আবদুল আলীম রানা বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। অচিরেই প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক বলেন, কসবা উপজেলাসহ জেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ তালিকা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে  পাঠানো হয়েছে। পনের দিনের মধ্যে পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্যপদে প্রধান শিক্ষক দেয়া হবে। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম জানান, বিদ্যালয়গুলোতে প্‌্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কথা বলব।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর