× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট সম্মান পেয়ে অভিভূত হাসিনা

অনলাইন

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) মে ২৬, ২০১৮, শনিবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কবির জন্মদিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডি লিট উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে। এই সম্মান পেয়ে তিনি যে অভিভূত, একই সঙ্গে গর্বিত সেকথা তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। শনিবার দুপুরে আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে শেখ হাসিনার হাতে এই সম্মাননা তুলে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি অসুস্থতার কারণে এদিন সমাবর্তনে উপস্থিত হতে পারেন নি।  বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য ড. সাধন চক্রবর্তী সমাবর্তনে স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এবং গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র দূরীকরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই উপাধি দেওয়া হয়েছে।  সম্মাননা গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলামের নামে তৈরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মাননা গ্রহণের জন্যই ছুটে এসেছি। তিনি বলেছেন, বাংলা ভাগ হয়েছে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল কখনো ভাগ হবে না।
তিনি বলেছেন, নজরুল এখানে জন্মেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি বলেছেন, কবি নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। আমরা সেই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি। মানব কল্যাণে নজরুল যে যুগ যুগ ধরে প্রেরণা জুগিয়ে যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বাংলাদেশের দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য ভারতের মানুষের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তনে তিনি চেষ্টা করে চলেছেন। আর এ ব্যাপারে সবসময় তিনি ভারতকে পাশে পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা এই উপমহাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত দেখতে চাই। আর তাই মানবতার কথা বেশি করে ভাবি। এই প্রসঙ্গেই তিনি বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার কথা উল্লেখ করেন। কবি নজরুলের নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি এবং কবির গ্রাম চুরুলিয়ার সংস্কারের জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্রোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গত শুক্রবার শেখ হাসিনা দুদিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন। শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন এবং বিশ্বভারতীল সমাবর্তনে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিকেলে জোড়াসাঁকোতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্মগৃহ সহ টাকুলবাড়ি ঘুরে দেখেন। দেখেন রবীন্দ্র মিউজিয়ামও। সেখানে বাংলাদেশের গ্যালারি রুপায়নের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। মিউজিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পদ্মার বোটের অনুকৃতিটিও তিনি ভাল করে দেখেন। পরে মন্তব্য বইতে কার মতামত লিপিবদ্ধ করেছেন। আজ শনিবার তিনি এলগিন রোডে নেতাজির বাড়িতে গিয়ে এই বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলিত হবেন একান্ত বৈঠকে। তবে হাসিনা উপহার হিসেবে মমতার কাছে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের ইলিশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর