× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সালাহ’র ইনজুরিতে ফুঁসছে আরব বিশ্ব

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
২৮ মে ২০১৮, সোমবার

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ে বিশ্বকাপে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে মিশরি স্ট্রাইকার মোহাম্মদ সালাহ’র। তার ইনজুরি নিয়ে রাগে ফুঁসছে আরব ফুটবল সমর্থকরা। মোহাম্মদ সাঈদ নামে এক সমর্থক টুইটারে জ্বলন্ত মশালের ছবি পোস্ট করে লেখেন, মিশরীয়রা রামোসকে ঘায়েল করার জন্য আসবে, যদি সালাহ বিশ্বকাপে খেলতে না পারে। আরেক সমর্থক তার টুইটারে রামোসকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, তোমার কি কোনো অনুভূতি আছে যে তুমি কি করেছো? মোহাম্মদ সালাহ শুধুমাত্র লিভারপুলের খেলোয়াড়ই নন, সে এর চেয়েও বেশি কিছু। সে ১০ কোটি মিশরির ভাই। সেই একমাত্র ব্যক্তি যে কিনা ১০ কোটি মিশরির মুখে হাসি ফুটাতে পারে। ড. আজিজ নামের এক সমর্থক টুইটারে লিখেন, সালাহকে যে ইনজুরি করেছে তার বংশধরদের প্রতি অভিশাপ জানাই। রামোসতো মানুষ নয় সে একটা মহিষ।
মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইব্রাহিম ফায়েক টুইটারে লেখেন, তোমার কান্না আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান সালাহ। আল্লাহ’র কাছে এই দোয়া করি, ইনজুরি কাটিয়ে তুমি যাতে দ্রুত বিশ্বকাপে মিশরের প্রতিনিধিত্ব করতে পারো। রামোস তুমি মানুষ না। তুমি অন্য কিছু। আমি দোয়া করি তুমি যাতে প্রতিবন্ধী হয়ে যাও।
সালাহর ইনজুরি নিয়ে মিশরে রীতিমত শোকের কান্না শুরু হয়েছে। দেশটির ফুটবল সাংবাদিক মারওয়ান আহমেদ বিবিসিকে বলেন, সত্যিই, আমি মনে করি এটা দুঃস্বপ্ন। এটা ব্যাখ্যা করার কোনো ভাষা নেই আমাদের। সালাহকে প্রথম পড়ে থাকতে দেখে স্তব্ধ হয়ে যাই। দ্বিতীয়বার যখন তিনি শুয়ে পড়লেন তখনই মনে হলো সব ঠিকঠাক নেই, তাকে হয়তো মাঠ ছাড়তে হবে। পরে তাই হলো। যা ঘটেছে কোনো মিশরীয়ই এমনটা দেখতে চাননি। আমরা কখনোই একজন মিশরীয়কে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে খেলতে দেখিনি। এটা ছিল আমাদের জন্য অনেক গর্বের। সালাহ’র ইনজুরি আমাদের সমগ্র মিশরীদের জন্য সত্যিই দুঃখের। এটা ব্যাখ্যা করার কোনো ভাষা বা শব্দ আমি খুঁজে পাচ্ছি না। বহু লোক শুধুই কাঁদছিল। আমি আশা করি, সালাহর এই ইনজুরি বিশ্বকাপে প্রভাব ফেলবে না। সে মিশরের ইতিহাসে গ্রেট খেলোয়াড়। আমরা ২৮ বছর বিশ্বকাপে খেলতে পারিনি। তার কল্যাণেই আমরা সেই স্বপ্নের দোরগোড়ায়। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে মোহাম্মদ সালাহ’র গোলেই বিশ্বকাপের টিকিট কাটে মিশর।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর