× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এফবআিই-র এক্স বস কোমরি নতুন বই- পর্ব-৫ /ট্রাম্প হলেন পানির বাইরে থাকা মৎস্য

বই থেকে নেয়া


২৯ মে ২০১৮, মঙ্গলবার

(গতকালের পর)
উইলিয়াম কোমি, যিনি  এফবিআইয়ের পরিচালক হওয়ার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটর্নি জেনারেল ছিলেন, তিনি তার বহুল আলোচিত নতুন বই (‘এ হায়ার লইয়ালটি, ট্রুথ, লাইজ অ্যান্ড লিডারশিপ’)  এ অনুপুক্সক্ষ বর্ণনা করেছেন, সেই দিনের কথা, যখন তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে অপেক্ষমাণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মস্কোর  বেশ্যা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন।
সেই বিষয়ে ( পর্নোওয়েবসাইট বিষয়ে) আমার প্রতিক্রিয়া ছিল, এই ঘটনা একটি অপরাধ হিসেবেই গণ্য হওয়া উচিত। আমি যখন শুনলাম যে, মাত্র কয়েক মাস আগেই এমন ঘটনাকে একটি ফেডারেল ক্রাইম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, তখন আমি যে কংগ্রেস সদস্য ট্রুথ ইন ডোমেইন নেমস অ্যাক্ট  করেছেন, তাকে ধন্যবাদ জানাতে আমি তার ফোন নম্বর জানতে উদ্যোগী হলাম।  আর এভাবেই আমি ইন্ডিয়ানা কংগ্রেসম্যান মাইক পেন্সের সন্ধান পেলাম। তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হলো, আর তখন তিনি আমাকে টেলিফোনে জানিয়েছিলেন, তার নিজের এক ছেলেই যখন এভাবে এক পর্নো ওয়েবসাইটে পৌঁছানোর শিকার হয়েছিল, তখন তিনি ওই আইনটি প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
পরিচালক ক্লাপার সিআইএ পরিচালক জন ব্রেনান, ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি পরিচালক মাইক রজার্সের সঙ্গে  প্রেসিডেন্ট-ইলেক্টের পাশে সব থেকে ঘনিষ্ঠভাবে বসেছিলেন। আর দেওয়ালের বিপরীতে আমার পেছনে বসেছিলেন সিআইএ-এর ভবিষ্যৎ পরিচালক মাইক পম্পেও এবং ডেসিগনেটেড হোমল্যান্ড সিকিউরিটি উপদেষ্টা টম বোসার্ট এবং ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি উপদেষ্টা কে. টি. ম্যাকফারল্যান্ড। প্রেসিডেন্ট ইলেক্টের সিআইএ ইন্টেলিজেন্স ব্রিফার, যার কাজ হলো ভাবি প্রেসিডেন্টকে নিয়মিতভাবে গোয়েন্দা তথ্য বিষয়ে অবহিত করা, তিনিও নোটটেকার হিসেবে সেখানে হাজির ছিলেন। আমি এখানে এটা উল্লেখ করতে চাই যে, আমি ইতিমধ্যে প্রশসনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও দুজন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলাম। আমি  এটা দেখতে ঔৎসুক ছিলাম যে, ট্রাম্প যাকে ‘ফিস আউট অব ওয়াটারের’ ধ্রƒপদি দৃষ্টান্ত বলা হয়, তিনি একটি সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে কীভাবে কী ভূমিকা পালন করেন।
একটি পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা এবং একটি জাতিকে নেতৃত্ব দেয়া, এবং একটি বৃহৎ করপোরেশন পরিচালনা করা নিশ্চিতই একটি সম্পর্ণূ ভিন্ন বিষয়। আপনাকে এমন অনেক ক্ষেত্রের সঙ্গে কাজ করতে হবে, যাদের কাছ থেকে আপনি রিপোর্ট পাবেন না, আপনাকে বরং বাস বরতে হবে রাশি রাশি আইন-কানুন ও বিধিবিধানের মধ্যে, যেসব সাধারণত কোনো আটপৌরে সিইও-কে মোকাবিলা করতে হয় না।
আমি অন্যান্য নেতাদের সান্নিধ্যে থেকে এটা প্রত্যক্ষ করেছিলাম যে, বিনয়ী থাকার বিষয়ে যথেষ্ট আস্থাশীল থাকা, নিজের বিষয়ে একটা স্বস্তির মধ্যে থাকতে পারাটাই হলো একটি কার্যকর নেতৃত্বের মূল নির্যাস। বিনয় অনেক কিছু করায়ত্ত করাকে সহজ করে দেয়, তবে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না, যেখানে আপনাকে তা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি মনে করিয়ে দেবে, আর তা হলো- ‘আমি কি ভুল করছি?’। উত্তম নেতৃবৃন্দ সর্বদা নিজেদের সীমিত সামর্থ্য কীভাবে কাজ দেয়, সে বিষয়ে উদ্বেগ তাড়িত থাকেন। এসব সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠতে উত্তম নেতৃবৃন্দ জাজমেন্টের (বিবেকের সম্মতি) ওপর নির্ভর করেন, আর সেটা ইন্টেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তা থেকে ভিন্ন একটি বিষয়। ইন্টেলিজেন্স হলো একটি সমস্যা সমাধানের সামর্থ্য, এটা আপনাকে ধাঁধাঁর উত্তর পেতে কিংবা একগাদা তথ্য-উপাত্ত থেকে সঠিক বিষয়টি জেনে নিতে সাহায্য করবে। আর জাজমেন্ট দিতে পারাটা হলো এমন একটি সামর্থ্য, যা আপনাকে সমস্যা সমাধানে একটা দিকনির্দেশনা দেবে এবং এমনভাবে দেখতে আপনাকে সাহায্য করবে, যাতে করে একই বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন মহল তাদের ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থ ও দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে দেখতে চায়, সেটা আপনার জাজমেন্টের মধ্যে তারও একটা প্রতিফলন ঘটাবে। এটা হলো এমনই এক সামর্থ্য, যা আপনাকে কিছু তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কোনো একটি হিয়ারিং রুম, বা কোর্টরুম হাজির করাবে। আপনার দেয়া তথ্য দীর্ঘ সময় ধরে সকলের মনোযোগের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এবং তা হয়তো দীর্ঘমেয়াদে (বছর কী মাসের পর মাস) এমন কোনো উল্লেখযোগ্য একটি প্রকাশনা বা একজন প্রতিদ্বন্দ্বীর বোর্ডরুমের খোরাকের উৎসে পরিণত হবে। চলবে। 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর