× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশে পিরিয়ড নিয়ে সচেতনতা নেই কেন?

শরীর ও মন


৩০ মে ২০১৮, বুধবার

নাজিয়া পারভীন, মধ্য তিরিশের একজন গৃহিণী এবং শখের মডেল। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার মোহাম্মদপুরে।
বয়:সন্ধিকাল থেকেই তিনি পিরিয়ড বা ঋতু্স্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেছেন। তবে কোনদিনই নিজে দোকানে গিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনেননি তিনি।
"আমি তো কোনদিনই যাইনি নিজে। বিয়ের আগে বাবা বা মা যেত। বিয়ের পরে স্বামী যায় আনতে।"
এতো গেল শহরের পরিস্থিতি। কিন্তু গ্রামে কি অবস্থা? তা জানতে কথা বলেছিলাম ঢাকার কাছে মুন্সীগঞ্জের কয়েকজন নারীর সঙ্গে।
মাসিক বা ঋতুস্রাব বিষয়ক পরিচ্ছন্নতা প্রশ্নে তারা সমাজ ও লোকলজ্জার বাধা কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
ফলে কেউই তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। সবাই জানালেন, তারা কাপড় ব্যবহার করেন।
সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আইসিডিডিআরবি'র চালানো ২০১৪ সালের ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভেতে বলা হয়েছে, পিরিয়ডের সময়কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে প্রায় কোন ধারণাই নাই বেশির ভাগ নারীর।
এ নিয়ে সচেতন না থাকার কারণে নানা রকম অসুখবিসুখও হয় বলে শোনা যায়।
আর তা সম্পর্কেও হয়ত জানেন না অনেকে। বলছেন, মুন্সীগঞ্জের জেলা স্বাস্থ্যকর্মী তাহমিনা আক্তার, "ন্যাকড়া ব্যবহারের জন্য ইনফেকশন হয়, জরায়ুর ইনফেকশন হতে পারে।
এছাড়া ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হয়। মাসিক অনিয়মিত হয়, খুব পেট ব্যথা হয়।"
গবেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে নারী স্বাস্থ্য, বিশেষ করে নারীর প্রজননস্বাস্থ্য এবং পিরিয়ড বা মাসিকের সময়ে পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপদ ব্যবস্থাপনা না থাকার অন্যতম কারণ সমাজের রক্ষণশীলতা।
আইসিডিডিআরবি'র গবেষণা কর্মকর্তা ফারহানা সুলতানা বলছেন তেমনটাই, "আমরা দেখেছি, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে সংকোচ আছে, অজ্ঞতা আছে। লোকে এ নিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে চায় না।"
"স্কুলগুলোয় পিরিয়ড সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা একেবারেই নেই। এসব কারণেই মেয়েদের অনেক সময় দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়।"
পিরিয়ডের মত একটা স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক বিষয় নিয়ে লজ্জা আর সংকোচের শেষ নেই বাংলাদেশের সমাজে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক ট্যাবু পুষে না রেখে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা আর সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমেই এড়ানো যাবে নানা ধরণের অসুখবিসুখ।

সূত্রঃ বিবিসি
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর