পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটায় আয়োজিত হয়েছিল ঘুঁটে উৎসব। এই উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শিল্পীদের গোবর দিয়ে তৈরি নানা শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার লোকশিল্পই লুপ পেয়েছিল এই উৎসবে। প্রাকৃতিক পচনশীল গোবরের উপর গ্রামবাংলার নির্ভরশীলতা বহু যুগের। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার জনজীবনে গোবরের গুরুত্ব ক্রমশ কমে যাবার জন্যই এই উৎসবের আযোজন করা হয়েছিল। আযোজকদের মতে, জ্বালনি হিসাবে ঘুঁটে হোক বা পরিবেশ ধুলোহীন করতে গোবর ছড়া কিংবা চাষে গোবরসার, গোবরের ব্যবহার সর্বত্র। সার্বিকভাবে গোবরের প্রয়োজনীযতা মাথায় রেখেই পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার বরিষ্ঠ নাগরিক মঞ্চ আয়োজন করেছিল ঘুঁটে উৎসব। সুতাহাটা সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে আয়োজিত এই উৎসবের মূল লক্ষ্য ছিল, নবীন প্রজন্মের কাছে গোবর ও ঘুঁটের অবদান তুলে ধরা।
উৎসবে স্থান পেয়েছিল, নানা আকৃতির ঘুঁটে ও ঘুঁটের মালা। ছিল গোবর দিয়ে তৈরি পুতুল ও লোকাচারের নানা সামগ্রী। উৎসবের অঙ্গ হিসাবে ঘুঁটে ও গোবরের ওপর মনোজ্ঞ আলোচনাও হয়েছে। সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে কৃতী ঘুঁটে শিল্পীদের। বাংলার একান্ত নিজস্ব লোকশিল্পকে তুলে ধরার জন্য আয়োজকদের প্রশংসা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।