× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে উপনির্বাচনে বিজেপির প্রভাব স্তিমিত

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) মে ৩১, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:২০ পূর্বাহ্ন

 মাত্র চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যেই ভারতে ভারতীয় জনতা পার্টি তথা বিজেপির প্রভাব ক্রমশ স্তিমিত হতে শুরু করেছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত ১১টি বিধানসভা এবং ৪টি লোকসভা উপনির্বাচনের ভোট গণনা থেকেই এই চিত্রটি পরিষ্কার হয়েছে। মোট ১৫টি আসনের উপনির্বাচনের ১২টিতেই বিজেপির পরাজয় ঘটেছে।  গত সোমবারই এই আসন গুলিতে নির্বাচন হয়েছিল। মোট ১১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসনে বিজেপি জিতেছে। সেটি হল উত্তরাখন্ডের থারালি বিধানসভার আসনটি। তবে জয়ের ব্যবধান খুবই সামান্য। এটি অবশ্য বিজেপিরই দখলে ছিল।
কংগ্রেস উপনির্বাচনে তিনটি আসনে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস পাঞ্জাবের শাহকোট আসনটি বিজেপির শরিক অকালী দলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। কর্ণাটকের আর আর নগর এবং মেঘালয়ের আমপাতি আসনেও জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। নাগাল্যান্ডের লোকসভা আসনটিতে বিজেপির সঙ্গী ন্যাশানাল ডেমোক্রাটিক প্রেগ্রেসিভ পার্টি জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে ঝাড়খন্ডের দুটি আসনে জয়লাভ করেছে বিরোধী ছাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা। তাদের হাতেই ছিল আসন দুটি। বিহারের জোতিহাট আসনটিতে জয়ীর হযেছে লালুপ্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মহেশতলা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেরলের চেঙ্গানুর আসনে সিপিআইএম জয়ী হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অবস্থা খুবই শোচনীয়। এই রাজ্যে ২০১৪ সালের নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় তুলে সকলকে চমকে দিলেও রাজ্যের অবিজেপি বিরোধীরা একজোট হতেই বিজেপি পরজয়ের মুখে পড়ে। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের ছেড়ে দেয়া দুই লোকসভা কেন্দ্র গোরক্ষপুর এবং ফুলপুরে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি একসঙ্গে লড়াই করে বিজেপিকে পরাজিত করেছিল। এবারও সেই একই চিত্র দেখা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশের কৈরানা লোকসভা কেন্দ্র এবং নূরপুর বিধানসভা আসনে বিজেপিকে হার মেনে নিতে হয়েছে। যে ৪টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ২টি মহারাষ্ট্রে, ১টি উত্তর প্রদেশে এবং ১টি নাগাল্যান্ডে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি নজর ছিল উত্তর প্রদেশের কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রের দিকেই। এই কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় লোকদলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিল সব বিরোধী দল। ফলে সহজের জয়ী হয়েছে লোকদল প্রার্থীর। আর নূরপুর বিধানসভা আসনটিতে অখিলেশ-মায়াবতী জোটের মুখে উড়ে গিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে পালঘর আসনে বিজেপি এককভাবে লড়াই করে জয়ী হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভান্ডারা-গোন্ডাসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস সমর্থিত ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, উপনির্বাচনের এই ফলাফল বুঝিয়ে দিয়েছে, ুিবরোধীরা একজোট হলে বিজেপির পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহও সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপচারিতায় স্বীকার করেছেন, বিরোধী দলগুলি হাত মেলালে, অন্য কোনও রাজ্যে বিজেপি বিপাকে পড়–ক বা না পড়–ক, উত্তর প্রদেশে বিজেপির পথ কঠিন হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর