রোনাল্ডো লুইস নাজারিও ডি লিমা। মানে ব্রাজিলের রোনাল্ডো। বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা। বিশ্বকাপের চার আসরে অংশ নিয়ে ১৫ গোলের কৃতিত্ব তার। শুধু জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার রয়েছে তারচেয়ে বেশি গোল (১৬)। ‘দ্য ফেনোমেনন’ খ্যাত রোনাল্ডো প্রতিটি বিশ্বকাপের আগেই নিজের গ্রেটেস্ট একাদশ প্রকাশ করেন। এবারও করেছেন। তার এবারের দলে পেলে-ম্যারাডোনার সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তিনি একাদশে রাখেননি পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।
যদিও একাদশে নিজেকে রেখেছেন তিনি। একাদশে রোনাল্ডো রাখেননি তার সাবেক কয়েকজন সতীর্থকেও। গোলপোস্ট পাহারায় স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী তারকা ইকার ক্যাসিয়াসের চেয়ে জিয়ানলুইজি বুফনের ওপরই ভরসা রেখেছেন সাবেক বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। সার্জিও রামোসের চেয়ে ডিফেন্সে নির্ভর করেছেন রিয়ালের এক সময়ের সতীর্থ ইতালির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ফ্যাবিও ক্যানাভারোর ওপর। আর মিডফিল্ডে জাভি হার্নান্দেজ ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে পাশে ঠেলে নিয়েছেন ইতালির আন্দ্রে পিরলোকে।
রোনাল্ডো প্রথমবার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পান ১৯৯৪-এ। তবে সেবার শিরোপাজয়ী ব্রাজিলের কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি রোনাল্ডো। আর জাপান-কোরিয়ায় ২০০২’র আসরে শিরোপা জয়ের পথে ৮ গোল নিয়ে গোল্ডেন বুট পুরস্কার জেতেন তিনি। ১৯৯৮’র বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলে ব্রাজিল। তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে ৩-০ গোলে হার দেখেন রোনাল্ডোরা।
‘দ্য ফেনোমেনন’র গ্রেটেস্ট একাদশ
জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি), কাফু (ব্রাজিল), ক্যানাভারো (ইতালি), পাওলো মালদিনি (ইতালি), রবার্তো কার্লোস (ব্রাজিল), আন্দ্রে পিরলো (ইতালি), জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স), ডিয়েগো ম্যারাডোনা (আর্জেন্টিনা), পেলে (ব্রাজিল), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা), রোনাল্ডো ডি লিমা (ব্রাজিল)।