ক্লাব ফুটবলে সফল কোচ পেপ গার্দিওলা। স্প্যানিয়ার্ড এ কোচের নজর এবার বিশ্বকাপের দিকে। কোচের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে চান পেপ গার্দিওলা।
বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ হয়ে ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবের ডাগআউট সামলাচ্ছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। ক্লাব ফুটবলে গার্দিওলার অর্জন সমৃদ্ধ। সবশেষ ম্যানসিটিকে জিতিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা। এবার কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ, ইউয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে (ইউরো) যেতে চান ৪৭ বছর বয়সী গার্দিওলা। এক সাক্ষাৎকারে গার্দিওলা বলেন, ‘সকল সফল কোচ কি জাতীয় দলকে অনুশীলন করানোর স্বপ্ন দেখেন না? হ্যাঁ, আমি আবারো বিশ্বকাপ অথবা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে থাকতে চাই।
এখন যেখানে আছি সেখানেই থাকছি। কিন্তু ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিং করানোর জন্য আমি প্রস্তুত থাকবো। কোচ হিসেবে আমি এখনো তরুণ।’ খেলোয়াড়ি জীবনে স্পেনের হয়ে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ ও ২০০০ সালের ইউরোতে খেলেন গার্দিওলা। দুই আসরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় স্প্যানিয়ার্ডরা। এর আগে স্পেনের কোচ হওয়ার লক্ষ্যের কথা বলেছিলেন গার্দিওলা, ‘আমি সবসময় বিশ্বাস করি ইংলিশ মানুষ ইংল্যান্ড দলের কোচ হয়, ব্রাজিলিয়ান ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেয়।’ ২০০৮ সালে সাবেক ক্লাব বার্সার হয়ে পেশাদার কোচিং ক্যারিয়ারে পা রাখেন গার্দিওলা। তার অধীনে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছায় বার্সা। কাতালানদের ডাগআউটে চার মৌসুমে ১৪টি ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন গার্দিওলা। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি লা লিগা ও দুইটি ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা। বার্সা থেকে বিদায় নিয়ে এক বছর বিশ্রাম নিয়ে বায়ার্নের কোচের দায়িত্ব কাঁধে নেন গার্দিওলা। তিন মৌসুমেই জেতেন বুন্দেসলিগা। কিন্তু বাভারিয়ানদের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। ২০১৬ সালে ম্যানসিটিতে নাম লেখান গার্দিওলা। ট্রফিশূন্য প্রথম মৌসুমের পর এবার ইংলিশ লীগ কাপ ও পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেন।