× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফিরে দেখা বিশ্বকাপ

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
৭ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার

১৯০৪ সালের ২১শে মে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল দে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা)। কিন্তু বৈশ্বিক একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে তাদের সময় লাগে ২৬ বছর। ১৯২১ সালে ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলে রিমে ফিফার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অলিম্পিকে বিভিন্ন দেশের ফুটবলের দারুণ সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন জুলে রিমে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি আলাদা একটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করার চিন্তা-ভাবনা করেন। আর এরই ফলস্বরূপ ১৯৩০ সালে ফিফা প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজন করে উরুগুয়েতে। সেবার প্রতিবেশী আর্জেন্টিনাতে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপা জিতে নেয় স্বাগতিক উরুগুয়ে। এরপর প্রতি ৪ বছর অন্তর এই আসর নিয়মিত বসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
কখনও আমেরিকায়, কখনও ইউরোপে, কখনও আফ্রিকায় আবার কখনও এশিয়ায়। দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপের আরেকটি আসর। রাশিয়ায় বসতে যাচ্ছে ফুটবল এই মহাযজ্ঞ। আগের প্রতিযোগিতাগুলো কেমন ছিল- ফুটবল উৎসবের বানে ভেসে যাওয়ার আগে ইতিহাসের পাতায় একটু চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক-
১৯৭৮ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা
চ্যাম্পিয়ন: আর্জেন্টিনা, রানার্স আপ: নেদারল্যান্ডস
প্রথম বিশ্বকাপেই ফাইনাল, কিন্তু শিরোপা জিততে আর্জেন্টিনাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৮ বছর। উরুগুয়ের বিপক্ষে ১৯৩০ সালের ফাইনাল হারের পর আরেকটি ফাইনাল খেলতে লম্বা সময় অপেক্ষায় ছিল তারা। মাঝে কয়েকটি বিশ্বকাপ বয়কট ও বাজে পারফরম্যান্সে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে সফল ১৯৭৮ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে। ফুটবল মহাযজ্ঞের ১১তম আসর বসেছিল লাতিন আমেরিকার দেশটিতে। ১ থেকে ২৫শে জুনের ওই আসরের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। রিভার প্লেটের ঘরের মাঠ স্তাদিও মনুমেন্তালে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনাল জিতে পঞ্চম আয়োজক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতে আলবিসেলেন্তেরা। তাদের আগে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ জিতেছিল উরুগুয়ে, ইতালি, ইংল্যান্ড ও পশ্চিম জার্মানি। ১৬ দলের শেষ বিশ্বকাপ ছিল আর্জেন্টিনায়। ওই আসর পর্যন্ত ১৫ দলের সঙ্গে স্বাগতিকরা অংশ নিতো ফুটবল মহাযজ্ঞে। এই বিশ্বকাপে ইরান ও তিউনিশিয়া প্রথমবার সুযোগ পায় বিশ্বকাপে। আর্জেন্টিনার ওই আসরেই ফল নিষ্পত্তির জন্য ফিফা প্রথমবার চালু করে পেনাল্টি শুট-আউট।
আগের বিশ্বকাপের ফরম্যাটেই হয়েছে ১৯৭৮ সালের আসর। ১৬ দল চার গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলে রবিন রাউন্ড। এরপর চার গ্রুপ থেকে আসা আট দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলে দ্বিতীয় রাউন্ড। ওই দুই গ্রুপের শীর্ষ দু’দল জায়গা পায় ফাইনালে, আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা দুই দল মুখোমুখি হয় তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে।
দ্বিতীয় হয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছিল আর্জেন্টিনা। গ্রুপ ‘১’-এ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায় ইতালি। গ্রুপ ‘২’ থেকে পরের রাউন্ডে যায় পোল্যান্ড ও জার্মানি। গ্রুপ ‘৩’ থেকে সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া ও ব্রাজিল। আর গ্রুপ ‘৪’ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে পেরু ও নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডস প্রথম রাউন্ডে মাত্র একটি ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘুরে দাঁড়ায়। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও এক ড্রতে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করে ডাচরা। অস্ট্রিয়াকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে শুরু করে দ্বিতীয় রাউন্ড, এরপর পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর ইতালিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় নেদারল্যান্ডস। ফাইনালে যাওয়ার পথে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে হারায় পোল্যান্ডকে। পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের সঙ্গে করে গোলশূন্য ড্র। আর শেষ ম্যাচে পেরুকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে ১৯৩০ সালের পর আবারও ওঠে ফাইনালে। আগের বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ফাইনাল হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় নেদারল্যান্ডসের। ১৯৭৮ সালে তাই আবারও আশায় বুক বাঁধে ডাচরা। যদিও বুয়েনস এইরেসের এন্তাদিও মনুমেন্তালে আরেকটি হতাশার অধ্যায় যোগ হয় তাদের ইতিহাসে। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনাল আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে জিতে নিয়ে প্রথমবারের মতো করে শিরোপা উদযাপন।
১৯৮২ বিশ্বকাপ: স্পেন
চ্যাম্পিয়ন: ইতালি, রানার্স আপ: পশ্চিম জার্মানি
দ্বাদশ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় স্পেন। জাঁকজমকপূর্ণ ও নয়নাভিরাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বার্সেলোনায়। বার্সেলোনায় বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বেশ জাঁকজমকপূর্ণ হয়। ৫০ মিনিট ধরে চলে এ অনুষ্ঠান।  এ বিশ্বকাপের জন্য বাছাইপর্বে অংশ নেয় সর্বাধিক ১০৬টি দেশ। অংশগ্রহণকারী ২৪টি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। লীগ ভিত্তিতে খেলা হয়। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দল সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পায়। পশ্চিম জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে সেমিফাইনালটিকে শতাব্দীর সেরা খেলা বলা যায়। ১২০ মিনিটেও খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। অপেক্ষা টাইব্রেকারের। তাতেও কোনো ফয়সালা হলো না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে খেলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় সাডেন ডেথ পথকেই বেছে নিতে হয়। উত্তেজনায় ঠাসা ও ম্যাচে পশ্চিম জার্মানি ৮-৭ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠে। অপর সেমিতে পোল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় ইতালি। পশ্চিম জার্মানি-ইতালির মধ্যকার ফাইনালে ৩-১ গোলে জয় হয় ইতালির।
১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ ছিল একেবারে আলাদা। কারণ আগের চেয়ে ৮টি দল বেশি অংশ নিয়েছিল ওইবার। সব মিলিয়ে ২৪ দল। প্রথম রাউন্ডে চার দলের ৬টি গ্রুপ খেলেছে রাউন্ড রবিন। এরপর ছয় গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে মোট ১২ দল খেলে দ্বিতীয় পর্বে। সেখানে তিনটি করে দল নিয়ে চারটি গ্রুপে লড়াই করে। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ দল ওঠে নকআউট সেমিফাইনাল পর্বে। দুই সেমিফাইনাল জয়ী দল খেলেছিল ফাইনাল, আর হেরে যাওয়া দল মুখোমুখি হয়েছিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। প্রথম পর্বে তিন ম্যাচই ড্র করার পর উড়তে থাকা ইতালির কাছে পাত্তাই পায়নি পশ্চিম জার্মানি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ইতালি। এবারও গোলমুখ খোলেন রসি, ৫৭ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় আজ্জুরিরা। মার্কো তারদেল্লি ৬৯ মিনিটে করেন ২-০। ৮১ মিনিটে আলেসান্দ্রো আলতোবেল্লির তৃতীয় গোলে ইতালির তৃতীয় শিরোপার স্বপ্ন পূরণ হয়। যদিও ২ মিনিট পর ব্রাইটনার একটি গোল শোধ দিয়েছিলেন। কিন্তু জার্মানি ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। ৩-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর