আর ৬ দিন পরে রাশিয়ায় শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২১তম আসর। এর আগে আর একটি প্রীতি ম্যাচ রয়েছে পর্তুগালের। আজ আলজেরিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচকে সামনে রেখে দলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগালের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে শেষবারের মতো ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ হয়েছে তার। তাই অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি পোস্ট করে রোনালদো লেখেন, বিশ্ব এবার পর্তুগালের জার্সিতে আমার চমক দেখবে।’ রোনালদোকে ছাড়া শনিবারের প্রস্তুতি ম্যাচে ছন্দহীন ছিলো পর্তুগাল। বেলজিয়ামের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে তারা। এছাড়া গত ২৭শে মে তিউনিশিয়ার বিপক্ষেও এগিয়ে থেকেও ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পর্তুগালকে।
রোনালদো ফেরায় পর্তুগাল ক্যাম্পও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বলে জানান দলের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। তিনি বলেন, রোনালদো দলের জন্য প্রাণভোমরা। সে দলে ফেরায় সবাই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আশা করছি শেষ প্রীতি ম্যাচে আমরা নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নিতে পারবো। এবারের আসরে ‘বি’ গ্রুপে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ স্পেন, মরক্কো ও ইরান। আগামী ১৬ই জুন ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল। এবারের বিশ্বকাপে পর্তুগিজদের ভরসার এক নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিশ্বকাপে পর্তুগালের সেরা সাফল্য সেই ১৯৬৬’র আসরে তৃতীয় হওয়া। এরপর বিশ্বকাপের মঞ্চে নিচের সারির দল হিসেবেই থাকতে হয় পর্তুগিজদের। এবারের মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪ গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগালের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ গোলের মালিকও তিনি। গত বছর বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ের দিনে রোনালদো করেছিলেন জোড়া গোল। ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাই পর্বের শেষ পাঁচ ম্যাচ চারটিতেই খেলেছেন রোনালদো। সবক’টি ম্যাচেই গোল করেছেন তিনি। আর ঐ চারটিতেই জিতেছে পর্তুগাল। গত সেপ্টেম্বরে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছিলো পর্তুগাল। সে ম্যাচে রোনালদো ছিলেন অনুপস্থিত। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয় পর্তুগাল। ১৯৬৬’র ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সর্বপ্রথম অংশ নেয় তারা। বিশ্বকাপে তাদের বড় সাফল্য দুইবার সেমিফাইনালে খেলা। সেগুলো ১৯৬৬ ও ২০০৬’র জার্মানি বিশ্বকাপে। গত ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় পর্তুগিজরা।