ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের রিভিউ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট পাশ হয়েছে। বড় ৬টি খাতে ঘাটতি নিয়ে এবছর ১৩৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। রিভাইজ বাজেটে এবছর প্রায় ৬৭ কোটি টাকা ঘাটতিসহ এবারের বাজেট পাশ হলো। আজ রোববার সকাল ১০টায় নতুন বাজেটের কপি ভিসির কাছে হস্তান্তর করেন ট্রেজারার ড. সেলিম তোহা। ট্রেজারার অফিস সুত্র মতে, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ইউজিসিতে ২০২ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকার বাজেট প্রস্তাব করে ইবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় এবং ব্যায়ের খাত বিবেচনা করে এবছর ১২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ইউজিসি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আয়সহ মোট বাজেটের পরিমান দাড়ালো ১৩৬ কোটি ৫০ লক্ষ। গত অর্থ বছরে নিজস্ব ১০ কোটি আয়সহ যা ছিল ১১৪ কোটি ২ লক্ষ টাকা।
একই সাথে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের রিভাইজ বাজেটে অতিরিক্ত ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ইউজিসি। এদিকে গত ১৯৯৫-৯৬ থেকে ২২টি অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ঘাটতি দাড়িয়েছে প্রায় ৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইউজিসির অনঅনুমোদিত ১২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, পরিবহন, বিদ্যুত বিল, পরীক্ষার পারিশ্রমিক, বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এবং টেলিফোন বিল খাতে এ বিরাট ঘাটতি হয়ে আসছে। যা আগামী অর্থ বছরের মোট বাজেটের অর্ধেক। সম্প্রতি পরীক্ষার পারিশ্রমিক দ্বিগুণ করায় ঘাটতির পরিমান আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘাটতি নিরসনের প্রশ্নে ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা বলেন, ‘ইউজিসিতে আমাদের নতুন অর্গানোগ্রাম পাশ হবার পথে। এতে অনঅনুমোদিত ১২৩ জনের স্থায়ীকরণ হলে ঘাটতি অনেকটাই কমে যাবে। একই সাথে আমাদের স্কুল আত্মীকরণের কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন।’