বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রতিপক্ষদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন জার্মান তারকা থমাস মুলার। তার কথায়, জার্মানির বর্তমান দল গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দলের চেয়েও দুর্দান্ত। চার বছর আগে ব্রাজিলের মারাকানার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারায় কোচ জোয়াকিম লোর জার্মানি। অতিরিক্ত সময়ের গোলে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক মারিও গোতজে এবার দলেই সুযোগ পাননি। বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার, লুকাস পোডলস্কি ও ফিলিপ লামের মতো অভিজ্ঞরা অবসর নিয়েছেন। তারপরও জার্মানির এই দলটাকেই এগিয়ে রাখছেন তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে নামা মুলার। ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচের সব ক’টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানি। মুলারের বিশ্বাস, রাশিয়াতেও শেষ হাসি হাসার সামর্থ্য রাখে জোয়াকিম লোর দল।
২৮ বছর বয়সী মুলার বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে এবার আমরা আরো ভালো দল। ভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে তুলনা করা ঠিক হবে না। আমাদের উন্নতির জায়গাটা ধরে রাখতে হবে এবং আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দলের অনেকেই দারুণ ফর্মে। আমরা মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি। পরীক্ষিত খেলোয়াড়দের নিয়ে অন্য দলগুলোও ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আসছে।’ জার্মানির খেলার ধরনে বিশেষ করে গত আট বছরে যে পরিবর্তন এসেছে তার জন্য কোচের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুলার। ২০০৬ সাল থেকে জার্মানির ডাগআউট সামলাচ্ছেন জোয়াকিম লো। মুলার বলেন, ‘২০১০ সালের পর থেকে জার্মান ফুটবল অনেক দূর এগিয়েছে। শুধু ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ই নয়, আমরা যেভাবে ফুটবল খেলছি তাও উল্লেখ করার মতো। আমরা বল দখলে রাখতে পছন্দ করি। তার মানে এই নয় যে পুরনো কৌশলের (লং পাস) প্রশংসা করছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে সরাসরি উপায়ে গোল করতে মুখিয়ে থাকি। আমরা এখন এমন একটি দল যারা বলের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করে, মাঝমাঠে অনেক মুভমেন্টে ছোট ছোট পাস দিয়ে খেলে।’ ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর জার্মানির জার্সিতে ৯০ ম্যাচে ৩৮ বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান মুলার। গত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৫) গোলদাতা ছিলেন তিনি। এবারের আসরেও দলের আক্রমণের জ্বালানি মুলার। সঙ্গে আছেন মারিও গোমেজ ও টিমো ওয়ারনারের মতো উঠতি ফরোয়ার্ড। মাঝমাঠ ও উইঙ্গার পজিশনে মেসুত ওজিল, টনি ক্রুস, সামি খেদিরা, মার্কো রিউস, জোশুয়া কিমিক, জুলিয়ান ব্রানড ও জুলিয়ান ড্রাক্সলাররা হবেন জোয়াকিম লোর অস্ত্র। আগামী ১৭ই জুন মেক্সিকো ম্যাচ দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবে জার্মানি। ‘এফ’ গ্রুপের অপর দুই দল সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়া।